আজ সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইজতেমায় হয়েছিল পরিকল্পিত হামলা, দাবি জোবায়েরপন্থিদের

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ণ
ইজতেমায় হয়েছিল পরিকল্পিত হামলা, দাবি জোবায়েরপন্থিদের

Sharing is caring!

টাইমস নিউজ 

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর সংঘটিত নৃশংস হামলার ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ আলেম, হেফাজতে ইসলাম, বেফাক ও খতমে নবুয়াতের অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বি আব্দুল হামিদ পীর সাহেব বলেছেন, ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে সাদপন্থিরা তৎকালীন সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানরত আমাদের সাথীদের ওপর একতরফা হামলা চালায়। এটি কোনোভাবেই দুই পক্ষের সংঘর্ষ ছিল না।

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থিদের কর্তৃক পুলিশের ছত্রছায়ায় নিরীহ নিরস্ত্র তবলিগি সাথী ভাই (বয়োবৃদ্ধ সাথীসহ), ওলামা মাশায়েখ এবং ছাত্রদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পির সাহেব এসব কথা বলেন।

আল মানহাল মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতউল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করে শুনান বিশিষ্ট দাঈ ও আলেমেদ্বীন মুফতি আমানুল হক।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট দাঈ ও আলেমেদ্বীন মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ ও হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির ও শীর্ষ আলেম মাওলানা নাজমুল হাসান। এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা লোকমান মাজাহারী, মুফতি মাসুদুল করিম, মুফতি বশিরউল্লাহ প্রমুখ।

লিখিত বক্তৃতায় বলা হয়, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ভারতের বিতর্কিত মাওলানা সাদ অনুসারীগণ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানরত শূরায়ী নেজাম তথা ওলামা হযরতদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তবলিগি সাথী ভাই (বয়োবৃদ্ধ সাথীসহ), সাধারণ মুসল্লি, ওলামা-মাশায়েখ এবং ছাত্রদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়।

এতে তৎকালীন গাজিপুরের পুলিশ কমিশনার বেলাল প্রতক্ষ্যভাবে জড়িত ছিলেন। তারা আরও বলেন, সাদপন্থিরা নামাজে সেজদারত অবস্থায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমাদের সাথীদের (বয়োবৃদ্ধ সাথীসহ) আহত করে, মসজিদ-মাদ্রাসা ভাচুর করে।

ইজিতেমা ময়দানে অবস্থিত মাদ্রাসার ছোট ছোট কোমলমতি ছাত্রদের ধরে ধরে নদীর পানিতে ছুড়ে মারে। সম্মেলনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী প্রশাসনসহ সাদপন্থিদের বিচারের দাবি জানান তারা।

এদিকে পৃথক বিবৃতিতে সাদপন্থিরা ওই সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন।