Sharing is caring!
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছে এক এএসআইসহ ৬ জন। শুক্রবার রাতের ঘটনায় আটক এএসআই ফারুক মিয়া বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। এ নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) তোলপাড় চলছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকার একটি ভবনের একটি বাসায় ১৬ জনের একটি দল ডাকাতি করতে যায়। তারা ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩৫ হাজার টাকা লুট করে। আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় এএসআই ফারুকসহ ৬ জনকে স্থানীয় জনতা ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। ছয়জনকে বাকলিয়া থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সাদা পোশাকে থাকা ফারুকের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সিএমপি। এরপর তাদের সবাইকে জিডিমূলে আদালতে চালান দেয় বাকলিয়া থানা পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলাম এদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, এএসআই ফারুক মিয়া এর আগে র্যাবে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। কয়েক মাস আগে বাকলিয়া থানার চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন তিনি। ডাকাতির সময় গ্রেফতার অন্যরা এএসআই ফারুকের সহযোগী ও সোর্স হিসাবে কাজ করে।
যে বাসায় ডাকাতি হয়েছে ওই বাসায় থাকেন মূলত এক রোহিঙ্গা দম্পতি। সোর্সের মাধ্যমে ফারুক নিশ্চিত হন তারা মিয়ানমারের নাগরিক। পাশাপাশি ওই বাসায় বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার রয়েছে বলে ফারুক সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারে। তাদের ধারণা ছিল মিয়ানমারের নাগরিক হওয়ায় ডাকাতি করলেও তারা আইনগত তেমন কিছু করতে পারবে না।
সিএমপির ডিসি (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘যেহেতু রোহিঙ্গাদের কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই এ কারণে ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা দম্পতি মামলা করতে পারেননি। ভবনের দারোয়ান আবদুল আজিজকে বাদী করে এএসআই ফারুকসহ সবার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। তাছাড়া ভবন মালিক রোহিঙ্গাকে বাসা ভাড়া দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’