Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছে, তারা সনদ বাতিলের আবেদন করে তালিকা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলে সাধারণ ক্ষমা পাবে। অন্যথায় প্রতারণার দায়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, বহু অভিযোগ আছে যে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে, গেজেটভুক্ত হয়েছে এবং সুবিধা গ্রহণ করছে। আমার দৃষ্টিতে, এটা জাতির সঙ্গে একটা প্রতারণা। এটা ছোটখাটো অপরাধ নয়, অনেক বড় অপরাধ।
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই–বাছাই করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা ইনডেমনিটিও হয়তো দেব। যারা অমুক্তিযোদ্ধা এভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসেছে, তারা যাতে স্বেচ্ছায় এখান (মুক্তিযোদ্ধার তালিকা) থেকে চলে যায়। যদি যায়, তারা হয়তো তখন সাধারণ ক্ষমাও পেতে পারে। আর যদি সেটা না হয়, আমরা যেটা বলেছি—প্রতারণার দায়ে তাদের অভিযুক্ত করব।
ফারুক-ই-আজম বলেন, আমরা চাই না, যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হোক। সেটা অক্ষুণ্ন রেখেই বাকি কাজটা সম্পন্ন করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য দুরূহ কাজ। প্রচেষ্টা রাখছি, আশা করছি এ ক্ষেত্রেও সফলতা আসবে।
অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো তালিকা করবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, যে তালিকা আছে সেটিকে যাচাই-বাছাই করার জন্য ডেটাবেইস তৈরির কাজ চলছে। ডেটাবেইস তৈরি করার পরে আমরা শ্রেণিবিন্যাস করব। ব্যাপকভাবে যারা রণাঙ্গনের যুদ্ধ করেছেন তাদের প্রবল আপত্তি আছে, সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করার ক্ষেত্রে। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা, সেটাতেও পরিবর্তন আনা দরকার। এ জন্য আইন সংশোধনের দরকার আছে। উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন হবে, তাঁরা যেটা সিদ্ধান্ত দিয়ে নির্ণয় করবেন—সেই অনুসারে আমরা শ্রেণিবিন্যাস করতে পারব।