Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
একুশে পদকজয়ী দেশের স্বনামধন্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। অসামান্য গায়কী দিয়ে ছয় দশকের বেশী সময় ধরে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বর্ষীয়ান এই শিল্পী ভালো নেই। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এই শিল্পী!
বিগত তিন বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত শিল্পী। চিকিতসকরাও আশা ছেড়ে দিয়েছেন। পরিবারও সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চ্যানেল আই অনলাইনকে শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের জীবনসঙ্গী সারোয়ার এ আলম জানান, জীবনের শেষ প্রান্তে পাপিয়া। আমাদের দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকে, তারা দেশে ফিরলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথাও জানান তিনি।
এই দম্পতির দুই কন্যা জারা সারোয়ার ও জিশা সারোয়ার। এরমধ্যে বড়মেয়ে জারা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। পড়ান সেখানকার একটি স্থানীয় কলেজে। হাসপাতালে চিকিতসাধীন সংকটাপন্ন মায়ের শারীরিক অবস্থার কথা শুনে ইতিমধ্যে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছেছেন।
সারোয়ার এ আলম জানান, ছোট মেয়ে জিশা থাকেন কানাডায়। তিনিও মায়ের এমন অবস্থার কথা শুনে রওনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটায় ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি।
শিল্পীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গেল বছর দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।
সর্বশেষ চলতি বছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীতে চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে `রবীন্দ্র মেলা‘য় কিংবদন্তী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।