আজ বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রিয়াংকা গান্ধীর কাঁধে প্যালেস্টাইন ব্যাগ, লোকসভায় হইচই

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
প্রিয়াংকা গান্ধীর কাঁধে প্যালেস্টাইন ব্যাগ, লোকসভায় হইচই

Sharing is caring!

টাইমস নিউজ 

ভারতের ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সংসদ সদস্য ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র ‘প্যালেস্টাইন’ লেখা একটি ব্যাগ নিয়ে লোকসভায় যেতেই হইচই কাণ্ড শুরু হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘গান্ধী পরিবার সবসময়ে এভাবেই তোষণের ব্যাগ বয়ে নিয়ে চলে। আর এই কারণেই নির্বাচনে তাদের ফল এমন হয়।’

যদিও ব্যাগ বিতর্কে আমল দিতে নারাজ প্রিয়াংকা। তার স্পষ্ট কথা, এ ধরনের আলোচনা করা আসলে খুবই সাধারণ ‘পিতৃতন্ত্র’। সোমবারই বিতর্ক নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে জানিয়ে দেন, ‘আমি এখন কোন পোশাক পরব, কোন পোশাক পরব না, তা কে ঠিক করবে? কে সিদ্ধান্ত নেবে? এটা একধরনের পিতৃতন্ত্র, যেখানে অন্য কেউ সিদ্ধান্ত নেবেন যে নারীরা কী পরবেন আর কী পরবেন না। আমি এতে গুরুত্ব দিই না। আমি যা চাইব তাই পরব।’

এই প্রথম নয়, এর আগে প্রিয়াংকাকে প্যালেস্টাইন দূতাবাসের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের সময়ে এক ধরনের ফিলিস্তিনি স্কার্ফ পরতে দেখা যায়। গাজায় হামলা নিয়ে একাধিকবার কংগ্রেস নেত্রী হিসেবে মুখ খুলেছেন প্রিয়াংকা। এবার লোকসভার সদস্য হিসেবেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি।

‘প্যালেস্টাইন’ লেখা ব্যাগ নিয়ে সংসদে যাওয়ায় প্রিয়াংকার প্রশংসা করেন পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী ফওয়াদ হুসেন।

সোমবারের ঘটনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সাবেক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রিসভার সদস্য ফওয়াদ বলেন, ‘প্রিয়াংকা গান্ধী ক্ষুদ্রকায় মানুষদের সামনে সাহস নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। লজ্জার বিষয় এই যে, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের পার্লামেন্টের কোনো সদস্যের এই সাহস হয়নি।’

প্রিয়াংকার প্রশংসা করতে গিয়ে জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন ফওয়াদ। বলেছেন, ‘জওহরলাল নেহরুর মতো সুউচ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামীর দৌহিত্রীর কাছ থেকে আমরা কী আশা করতে পারি?’ যদিও প্রিয়াংকা নেহরুর দৌহিত্রী নন। প্রিয়াংকার বাবা রাজীব গান্ধী ছিলেন নেহরুর দৌহিত্র। তবে এর ফলে ফওয়াদের বক্তব্যের মর্মার্থ বুঝতে অসুবিধা হয়নি।

গত ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছিল স্বাধীনতাপস্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। অভিযোগ, তারপর থেকে গাজা এবং পশ্চিম তীরে ধারাবাহিক হামলা এবং ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনা। তাদের অধিকাংশই নিরপরাধ সাধারণ মানুষ, নারী এবং শিশু।