আজ বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনগরে সুপ্রাকান্দি লিজের বাহিরে আদালতের রায় ডিক্রী ও নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে ভুমি দখলের চেষ্টা

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ণ
রাজনগরে সুপ্রাকান্দি লিজের বাহিরে আদালতের রায় ডিক্রী ও নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে ভুমি দখলের চেষ্টা

Sharing is caring!

জাফর ইকবাল মৌলভীবাজার থেকে,

মৌলভীবাজারের রাজনগরের সুপ্রাকান্দি গ্রামে একটি পক্ষ সরকারী জলাশয় লিজ নিয়ে আদালতের আদেশ অমন্য করে পাশের মালিকানা ডোবা ও পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জমির মালিক সৈয়দ মিয়াজান আলী।

রাজনগর থানার অভিযোগে জানাযায়, রাজনগর উপজেলার জে এল নং: ৩২, এস এ খতিয়ান নং-১, এস এ দাগ নং-২০১৭, আর এস দাগ নং-২০১৮, এস এ দাগ নং-৩০৫৮, আর এস দাগ নং-২৮৩৬, এস এ দাগ নং-৩৩৯৩ নিম্ন তপশীল বর্ণিত ৫.৬৪ একর ভূমি আদালত মাধ্যমে বায় ডিক্রী মূলে সৈয়দ মহরম আলী প্রাপ্ত হয়ে কিছু অংশে পুকুর করে রুই, কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করছিলেন। এ অবস্থায় উক্ত ভূমি সৈয়দ মহরম আলীর নামে নামজারী করার নির্দেশ সূচক আদেশের জন্য সহকারী জজ আদালত, রাজনগর, মৌলভীবাজার স্বত্ব ৯০/২০২০ ইং মামলা দায়ের করেন। এই মামলার ভুমি ইজারা প্রদান না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা নিন্ম আদালতে নামঞ্জুর হয়।

এদিকে উক্ত নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে সক্ষুব্ধ হয়ে জেলা জজ আদালত মৌলভীবাজার বিবিধ আপীল ৪৭/২০২২ মামলা দায়ের করলে তাহা বিচারের নিমিত্তে অতিরিক্ত জেলা জজ ১ম আদালত মৌলভীবাজারে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আদালত বর্ণিত স্বত্ব ৯০/২০২০ ইং মামলা নিষ্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত ইজারা প্রদান করা হইতে বিরত থাকার জন্য নিষেধাজ্ঞা মূলক আদেশ প্রদান করেন।

তৎপ্রেক্ষিতে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্ণিত ভূমি ইজারা প্রদান করা হইতে বিরত থাকেন। সৈয়দ মহরম আলী সম্পূর্ণ নির্ভেজাল ভাবে দীর্ঘ ৬০ বছর যাবৎ তপশীল বর্ণিত ভূমিতে মাছ গাছ উৎপাদন করে ভোগ দখল করে আসছেন। মো: কালাম মিয়া, ইলাল মিয়া গং পূর্ব বিরোধ ও মনোমালিন্য থাকার কারনে ইদানিং বর্ণিত ভূমির কতেক অংশ হতে রুই, কাতলা, মৃগের মাছ সহ বিভিন্ন জাতের মাছ প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ মো: কালাম মিয়া গং জোর পূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ১৫ ডিসেম্বর বর্ণিত ভূমি পুকুর অংশে পানি নিষ্কাষনের মেশিন লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু করে।

এসময় সৈয়দ মিয়াজান আলী ও তার ভাই গন বাঁধা আপত্তি দিলে কালাম মিয়া গংরা উত্তেজিত হয়ে তাহাদের দেশীয় প্রাণ নাশক অস্ত্র, রামদা, লোহার রড দিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে। তাহাদেরকে মাছ কিংবা পানি নিষ্কাশনে বাঁধা দিলে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দেয়। এসময় জোর পূর্বক জাল দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ, ৪ ফুট বেড়ের একটি কদম গাছ কেটে নিয়া যায়।

এব্যাপরে রাজনগর থানায় সৈয়দ মিয়াজান আলী বাদী হয়ে কলাম মিয়া ও ইলাল মিয়ার উপর একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, উল্লেখিত ভুমিতে মালিকানা দাবীদারের পক্ষে আদালতের রায় ও নিষেধাজ্ঞা থাকায় লিজ প্রদান করা হয়নি। কোন পক্ষ লিজের বাহিরে যদি অবৈধ্য কিছু করে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।