Sharing is caring!
আবদুল্লাহ আল ইমরান
চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যাকাণ্ড পুরো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিলে অন্তবর্তী সরকার দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ন্যায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই আশার আলো নিভে গেল, যখন সেই কমিটির সব সদস্য পদত্যাগ করলেন। তারা অভিযোগ করেছেন, হত্যাকাণ্ডে প্রভাবশালী সরকারি ব্যক্তিরা জড়িত!
এদিকে, এই ঘটনার বাইরেও বিশৃঙ্খলা ক্রমেই বাড়ছে।
বিসিএস ক্যাডাররা, যারা এক সময় জাতীয় উন্নয়নের প্রতীক ছিল, তারা এখন নিজেদের দ্বন্দ্বে লিপ্ত। ক্ষমতা ও প্রভাবের লড়াই অফিসগুলোকে পরিণত করেছে যুদ্ধক্ষেত্রে। যে ব্যবস্থাটি দেশ পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, তা এখন ভেঙে পড়ছে নিজের অন্তর্গত দ্বন্দ্বে।
এই উত্তেজনা আরও বাড়বে যথন সংষ্কার কমিশনগুলো একে একে তাদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ও সুপারিশ প্রকাশ করতে থাকবে।
জাতি একটি সংকটময় মোড়ে দাঁড়িয়ে। বিভাজিত একটি জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করার কাজ সব সময়ই দূরহ। রাজনৈতিক নেতারা জড়সড়, আর সাধারণ মানুষ ছোট ছোট সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের কমিউনিটি ধরে রাখার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে- বিভক্ত জাতি কি এক হতে পারবে, নাকি বাংলাদেশ আরও গভীর সংকটে ডুবে যাবে?
এই বিভক্ত জাতির জন্য আশার আলো ক্ষীণ। কিন্তু এখানেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ক্ষমতার শীর্ষে বসেই কৃত্রিম ঐক্যের প্রদর্শন করতে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। এই (একই) স্বৈরাচারী পন্থা হয়তো সাময়িক শান্তি বয়ে আনতে পারে, কিন্তু ইতিহাস দেখিয়েছে এর শেষ পরিণতি ভালো হয় না। জেনারেল আইয়ুব ও তার অনুগামীরাও সেই ইতিহাসের উদাহরণ।
এখন জাতি অপেক্ষায় আছে, ড. ইউনুস, যিনি ক্ষমতার কেন্দ্রে আছেন, তিনি কোন পথটি বেছে নেবেন! জাতির জন্য মুক্তির পথ, নাকি ধ্বংসের? দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা আশার আলো দেখাচ্ছে না।
আবদুল্লাহ আল ইমরান ; সাংবাদিক, প্রবাসী