আজ বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শরীরে ধাক্কা লাগার জেরে এক চিকিৎসককে মারধর

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:১৭ অপরাহ্ণ
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শরীরে ধাক্কা লাগার জেরে এক চিকিৎসককে মারধর

Sharing is caring!

সজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শরীরে ধাক্কা লাগার জেরে এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই চিকিৎসকের দুটি দাঁত ভেঙে গেছে।
এ ঘটনায় তিনজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর দুইজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার থেকে নিচে নামার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলরুবা জেবা।
আহত চিকিৎসক শাহীন জোদ্দার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি শহরের কমরপুর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে শাহীন জোদ্দারের ওপর হামলার প্রতিবাদে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিকিৎসক শাহীন জোদ্দার হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার থেকে নিচে নামছিলেন। এ সময় জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোত্তাকিম নিচে থেকে উপরে উঠছিলেন। অসাবধানতাবশত শাহীন জোদ্দারের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুত্তাকিমের শার্টের কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মারেন চিকিৎসক। পরে বাড়ি ফিরে মুত্তাকিম তার লোকজন নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ঘটনার জবাব চান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহীন জোদ্দারকে মারধর করা হয়। এতে তার দুটি দাঁত ভেঙে যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোত্তাকিম (২১) শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি করছেন।
অধ্যক্ষ দিলরুবা জেবা বলেন, “শাহীন জোদ্দার একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। প্রকাশ্যে তাকে মারধর করার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।
“এ ছাড়া বিষয়টি ফরিদপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিত আকারে জানাব। এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।”
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মোরশেদ বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোত্তাকিমের মোবাইলে কল করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে শাহীন জোদ্দারের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে চিকিৎসক শাহীনের বড় ভাই মো. শামীম জোদ্দার, চাচাতো ভাই সাত্তার জোদ্দার, কোমরপুর ঈদগাঁর ইমাম রেজাউল করিম, মো. জিহাদুল ইসলাম রত্নসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন