Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন,শেখ হাসিনা একজন মজ্জাগতভাবে খুনি। অহরহ শুধু খুনের কথা ভাবেন। এত বিচারের দরকার কী? রায় দিয়ে দিলেই পারেন। আমি আইন উপদেষ্টাকে বলতে চাই এত বিচার করতে যাবেন না।
কারণ শেখ হাসিনা কী করতে পারেন এটা আমার ভালোই ধারণা আছে। তিনি গ্লিসারিন দিয়ে কান্না করবেন আর কান্না দেখে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় গলে যাবে।
আমার ভয় হয়, তাকে এখানে আনা মানে আরেকটা প্রহসন আরেকটা তামাশা। আমরা জানি সে খুন করেছে। তার রায় দিয়ে দিন এখনই। কোনো দরকার নেই দীর্ঘায়িত করার।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন আয়োজিত ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ড : বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের কফিনে পেরেক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শফিক রেহমান বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে হওয়া ৫০ বছরের ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদ এই বছরই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এই সরকারকে নড়েচড়ে বসতে হবে। কেবল অতীতমুখিতা নয়; আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। ভবিষ্যতে প্রজন্ম পানি পাবে কিনা সেটা দেখতে হবে।
শফিক রেহমান বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরে আজকে যারা বেঁচে আছেন, যাদের আত্মীয়স্বজন আছেন, তারা যেন আত্মমর্যাদা ফিরে পায় সেটাও দেখতে হবে। শুধু আর্থিক নয়, শারীরিক নয়, মানসিক নয় তারা যেন আত্মমর্যাদা ফিরে পায় সেদিকে দেখতে হবে; এটা আমার অনুরোধ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিনার রশীদ, নিহত বিডিআর সদস্যের সন্তান অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী সানজানা সানিয়া জোবাইদা, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়েজুল আলম, সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. শামীম রেজা, ফুয়াদ সাকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি প্রমুখ।