আজ বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২, ২০২৪, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ণ
জুড়ীতে জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত

Sharing is caring!

সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী থেকেঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তা বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলা পরিষদ হলরুমে কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড অ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও এফএও বাংলাদেশের অর্থায়নে জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এ সভার আয়োজন করেন।
উক্ত সচেতনতা সভায় সভাপতিত্ব করেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো: আরিফ হোসেন, কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড অ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: সামছু উদ্দিন, প্রথম আলো পত্রিকার জুড়ী প্রতিনিধি কল্যাণ প্রসূন চম্পু, ভোরের কাগজ পত্রিকার জুড়ী প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সুমন, উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের সহকারী মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম, নিশ্চিন্তপুর কুয়ায় মাছ চাষ সিবিও সভাপতি মো. তবারক আলী, সাধারণ সম্পাদক রাজ কুমার দাস, আমতৈল বিল নার্সারির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, ক্যাশিয়ার আলতী রানী বিশ্বাস, ব্রুডমাছ সমিতির সভাপতি সুক্তন বিশ্বাস প্রমুখ।
এ সচেতনতা সভায়- মৎস্য চাষি ও মৎস্যজীবীদের সাথে মৎস্য চাষ ও ব্যবস্থাপনায় শীতকালীন, তীব্র তাপদাহ, বন্যাকালীন ও বর্জ্যপাত নিয়ে আগাম সতর্কতা বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি সফল করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে, সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড অ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হওয়ায় বাস্তবতা মেনে আমাদেরকে পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরো নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে মৎস্য সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি, জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মৎস্যচাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মৎস্যচাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।