Sharing is caring!

মামুনুর রশীদ বরিশাল,
শত শত গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য ছোট্ট একটি স্টল। বসার জায়গা নেই, এমনকি দাড়ানোর জায়গায়ও নেই। মাত্র তিনটি ডেস্কে সেবা প্রদান করা হয়। ডেস্কগুলোতে নেই কোন ইন্ডিকেশন। একটি লম্বা লাইনে ঘন্টাব্যাপী দাড়িয়ে সিরিয়াল পেয়ে শুনতে হচ্ছে তার এই সমস্যাটি অন্য ডেস্কে। তখন আবার আরেকটি লম্বা লাইনের পেছনে দাড়াতে হয়। বরিশাল ফজলুল হক এভিনিউয়ে অবস্থিত গ্রামীণফোন কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের নিয়মিত দৃশ্য এটি।
মনোয়ারা বেগম নামে এক গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার সাথে গ্রামীণফোন সেন্টারের কাস্টমার ম্যানেজার আরিফ অনেক অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। দীর্ঘ সময় একটি লাইনে দাড়িয়ে সিরিয়াল পাওয়ার পরে আরিফ আমাকে বলে আপনার সমস্যাটির জন্য পাশের লাইনে দাড়াতে হবে। আমি জানতে চাই, একথা আমাকে আগে কেন বলা হয়নি।
তখনই আরিফ সাহেব আমার উপরে ক্ষেপে যান। উপস্থিত অন্যান্য গ্রাহকরাও তখন আমার সাথে প্রতিবাদক করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরিশাল কাস্টমার কেয়ার সেন্টারটি একদম ছোট একটি স্টল। তিনটি ডেস্কের মধ্যে একটি প্রায়ই কর্মীশুন্য থাকে। দুটি ডেস্কে শত শত মানুষের সেবা প্রদান কোন ভাবেই যথেষ্ট নয়।
তাছাড়া এখানে কর্মরত কাস্টমার ম্যানেজর কর্মীদের প্রায় সবারই আচরণ অত্যন্ত আপত্তিজনক। মিমি নিজের অসুস্থতার ধুয়া তুলে অধিকাংশ সময়ই ডেস্কে বসেন না। সাদিব ও আরিফ সহ অন্যান্যরা রুক্ষ মেজাজে কাজ করেন। এক শতাংশ গ্রাহকও এখান থেকে সুন্তুষ্টি নিয়ে যেতে পারেননা বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে বরিশাল গ্রামীণফোন সেন্টারের কাস্টমার ম্যানেজার সাদিব বলেন, একজন কর্মীর সামর্থের চেয়ে কাজের লোড বেশি থাকলে একটু এধার-ওধার হতেই পারে। তাছাড়া মিমি আপু অসুস্থ। দুই একজন গ্রাহক উচ্চবাচ্য করলে তখন তাকে থামাতে গিয়েছিল আরিফ। তবে খুব শিঘ্রই বড় একুমেডশনের জায়গা নিয়ে এই ভোগান্তির সমাধান হতে যাচ্ছে।