নীলফামারীর জলঢাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন, রশিদুল ইসলাম(৩৮) নামে এক দুষ্কৃতকারী।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ড পান্তা পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রশিদুল উপজেলার খালিশা খুটামারা খামাত পাড়া এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে।
থানা সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে উপজেলার টেংগনমারী বাজারে রহমতুল্লাহ নামে এক কসমেটিক্স ব্যবসায়ীকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে ফাঁসাতে তার দোকানে গোপনে ৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে চলে যায় রশিদুল ইসলাম। (যা সিসি টিভির ফুটেজ রয়েছে)।
পরে উপজেলার খালিশা খুটামারা খামাত পাড়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আকরাম হোসেন (২৪) পুলিশ কে ফোন দিয়ে জানায,রহমতুল্লাহর দোকানে মাদক বিক্রি হচ্ছে। খবর পেয়ে জলঢাকা থানার এসআই আনিসুজ্জামান আনিস ও এএসআই রফিক এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল রহমতুল্লাহর দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
কিন্তুু মাদকের বিষয়ে দোকান মালিক রহমতুল্লাহ কিছুই যানতেন না বলে তার দোকানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশকে চেক করতে বলেন।
পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজে দেখতে পায় রশিদুল ইসলাম ওই দোকানে মাদক রেখে চলে যায়।
মাদক দিয়ে দোকান মালিক রহমতুল্লাহকে ফাঁসানোর চেষ্টা এবং তার দোকানে পুলিশের তল্লাশির প্রতিবাদে অভিযানকারী পুলিশ সদস্যদের ওই দোকানের ভিতরেই আটকে রাখে হাজারো এলাকাবাসী।
প্রায় ১ ঘন্টা পর টেংগনমারী বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দুলাল হোসেনের সহযোগিতায় ওই দোকান থেকে পুলিশদের উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কামরুজ্জামানসহ জামায়াত ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ ওসির সাথে কথা বলে সেখানে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে প্রকৃত অপরাধীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ কে উদ্ধার করে থানায পাঠিয়ে দেন।
এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রশিদুল ইসলাম ও আকরাম হোসেনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত রশিদুল তার জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। উক্ত আসামিকে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে ।