Sharing is caring!

টাইমস নিউজ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানে অন্যরকম উত্তেজনা। তা যে কোনও খেলাতে হোক না কেন। ফুটবলে উত্তেজনার তাপটা আগে থেকে একটু একটু পাওয়া যাচ্ছিলো। এখন তো সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততো আলোচনা বাড়ছে।
এমন উত্তেজনা পাচ্ছেন ওপার বাংলার আরেক ফুটবলার প্রীতম কোটালও। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দলে নেই। বাদ পড়েছেন। তবে দুই দেশের ম্যাচ নিয়ে নিজের উত্তেজনার কথা আড়াল করতে পারেননি। দুই দেশের ম্যাচটি যে অন্যরকম হবে তা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী ডিফেন্ডার।
বাংলাদেশ দল এবার শক্তি বাড়াতে ইংল্যান্ড থেকে হামজা চৌধুরীকে উড়িয়ে এনেছে। ইংলিশ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলারের লাল-সবুজ দলে অন্তর্ভুক্তিতে জামালদের শক্তি যে বৃদ্ধি পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আইএসএল এর চেন্নাইয়ান এফসিতে খেলা প্রীতমও তা মানছেন। ভারত থেকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দলে হামজা চৌধুরী শুনেছি খেলবে। ওর তো ইংলিশ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বড় মাপের খেলোয়াড়। আমাদের থেকে অনেক ওপরের লিগ খেলে থাকে। ভালো হয়েছে ও বাংলাদেশের হয়ে খেলবে। ম্যাচটা অন্যরকম হবে।’
তবে হামজা খেললেও প্রীতম তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, এই মিডফিল্ডারের দিকে নয়, পুরো বাংলাদেশের বিপক্ষে দৃষ্টি থাকবে ভারতীয় দলের। তার ভাষায়, ‘হামজা খেলবে। তবে আমাদের দল কিন্তু ওই একজনের বিপক্ষে খেলবো না। টিম গেম খেলবো। পুরো বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে। সেভাবেই লড়বে বলে আমার বিশ্বাস।’
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে অন্যরকম উত্তেজনা থাকে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের সল্টলেকের গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনের ম্যাচটি ভুলেননি প্রীতম। এছাড়া ২৫ মার্চের ম্যাচকে সামনে রেখে উত্তেজনার পারদও দিনকে দিন বাড়ছে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তারপরও সমানে সমান উত্তেজনা নিয়ে প্রীতম অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, ‘নানান কারণে ম্যাচে উত্তেজনার পারদ বেশি থাকে। প্রতিবেশী আমরা। দুই দেশের ফুটবলে ঐতিহ্য রয়েছে। ক্লাব ও জাতীয় পর্যায়ে অনেক আগে থেকে খেলা হচ্ছে। দুই দেশের ফুটবলাররা একসময় একে অন্যের দেশে ক্লাব ফুটবলে খেলেছে। আমার মনে হয় সব মিলিয়ে উত্তেজনা আবেগ বেশি কাজ করে।’
ভারতীয় লিজেন্ড সুনীল ছেত্রী অবসর ভেঙে খেলছেন। এরই মধ্যে শিলংয়ে দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। ছেত্রীর যোগ দেওয়া দলের জন্য ইতিবাচক মনে করছেন প্রীতম, ‘সুনীল তো অবসরের জন্য কিছু দিন ছিল না। ওকে আমরা অনেক মিস করেছি। ক্লাব পর্যায়ে এখনও ভালো খেলছে। গোল পাচ্ছে। তবে ওর জায়গায় যে খেলছিল তাকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়েছে। তবে আমরা তো টিম গেম খেলি। সুনীল ফিরে আসায় ভালো হয়েছে। সবাই মিলে আরও ভালো খেলতে পারবো। তবে সামনের দিকে আমার মনে হয় আস্তে আস্তে তার মতো খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। হয়তো সময় লাগবে।’
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি কলকাতার সল্টলেকে হলে ভালো হতো বলে মনে করছেন ভারতীয় দলে সদ্য বাদ পড়া বাঙালি ফুটবলার। তার ভাষায়, ‘শিলংয়ে ম্যাচ হবে। ওরা ফুটবলকে আরও প্রসারিত করতে চায় বলেই ম্যাচ আয়োজন করেছে। সল্টলেকে হলে অন্য আমেজ থাকতো। প্রচুর দর্শক হতো। আসন সংখ্যাও বেশি ছিল।’
সবার শেষে ফোন রাখার আগে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ফল কী হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় দলের হয়ে ৫২টি ম্যাচ খেলা প্রীতম সরাসরি জানালেন, ‘ম্যাচটিতে আমরা তো জিততে চাইবো। এটাই স্বাভাবিক। তাও আমাদের নিজেদের দেশে খেলা। তবে তা সহজ হবে না। বাংলাদেশ দল তো সব সময় লড়াকু ভাবে খেলে।’
২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ধুন্ধুমার ম্যাচটির জন্য তাহলে সবার অপেক্ষা।