আজ মঙ্গলবার, ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে চাঁদা না দেওয়ায় যুবককে কোপাল আওয়ামী লীগের অনুসারীরা

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ণ
মাদারীপুরে চাঁদা না দেওয়ায় যুবককে কোপাল আওয়ামী লীগের অনুসারীরা

Sharing is caring!

রাকিব হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে চাঁদা না দেওয়ায় এক যুবককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের অনুসারীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (০৪ এপ্রিল)  বিকেলে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মোক্তার হোসেন(৩০) ব্রাহ্মন্দী তালতলা এলাকার বিল্লাল ধুমকির ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়,
সদর উপজেলার ব্রাহ্মন্দীর তালতলা এলাকায়
হায়দার সরদার দীর্ঘদিন ধরে মোক্তার হোসেন ধুমকির কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল।তাদের ভয়ে মোক্তার হোসেন পরিবার নিয়ে দীর্ঘ বছর ঢাকায় বসবাস করে আসছিলেন।শেখ হাসিনা পতনের পরে এবার ঈদে নিজ বাড়িতে চলে আসলে হায়দার সরদার ( আওয়ামী লীগ অনুসারী)। মোক্তার তার নিজ বাড়ি থেকে তালতলা বাজারে আসার পথে হায়দার সরদার দেখে ডেকে নিয়ে জহিরুল সরদার, ইমন বেপারী,মিজান খান,জহিরুল মোড়লসহ বেশ কয়েকজন মিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারিভাবে কোপাতে থাকলে তার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে স্হানীয় লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করেন।
মুক্তার হোসেনের স্ত্রী শান্তা আক্তার বলেন,আমার স্বামী অটো চালায় দীর্ঘ বছর ধরে হায়দার ও তার লোকজনরা আমার স্বামীর কাছে চাঁদা দাবি করে, চাদা না দেওয়ায় এর আগেও আমার স্বামীকে মারধর এবং হুমকি ধামকি দিয়েছে। তাদের ভয়ে আমার স্বামী ঢাকায় গিয়ে কাজ করে। কিন্তু এবার ঈদে বাড়িতে আসার পরেও চাঁদা চেয়েছেন। চাঁদা না দেওয়ার কারণে এই আওয়ামী লীগের অনুসারীরা আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখন করেছে। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
মুক্তার হোসেনের মা বলেন, হায়দারদের ভয়ে আমার ছেলে দীর্ঘ বছর ঢাকায় ছিল।এবার ঈদে বাড়িতে এসেছে। বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে তাকে ডেকে নিয়ে কোপাইছে।আমরা হায়দার ও তার লোকজনের বিচার চাই
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হায়দার সরদারের মুঠোফোনে একাধিকবার  ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
 এ ব্যাপারে এব্যাপারে মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোকছেদুর রহমান বলেন,এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।