আজ মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবজার ৭ উপজেলায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৩৫৯ এর মানববন্ধন

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ২১, ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
মৌলভীবজার ৭ উপজেলায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৩৫৯ এর মানববন্ধন

Sharing is caring!

জাফর ইকবাল মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

সি,এন,জি গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন (নাম্বার প্লেট) দ্রুত পাওয়ার এবং নতুন সিএনজি গাড়ী বিক্রয় বন্ধের দাবীতে জেলা অটো-টেম্পু, বেবিট্যাক্সি, মিশুক, সিএনজি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- চট্ট ২৩৫৯) এর মৌলভীবাজর সদর সহ ৭টি উপজেলায় মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের রেজিঃ নং- চট্ট ২৩৫৯ এর শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ মানবন্ধন, প্রতিবাদ সভা শেষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সহ পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় ৬টি উপজেলার সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি গন উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দাবী করেন, সিএনজি মালিক ও চালকরা অর্থনৈতিক ভাবে নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আয় রোজগার ও কর্মসংস্থানের আশায় নিজ সঞ্চয় সহ এনজিও থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে সিএনজি ক্রয় করেন। শো-রুমের মালিক চক্র বৃদ্ধি সুদের ভিত্তিতে কিস্তিতে সিএনজি গাড়ী বিক্রি করেন। তারা ৩ মাসের মধ্যে গাড়ির কাগজ পত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। গাড়ী ক্রয় করার সময় বিধি মোতাবেক সরকারের ট্যাক্স ভ্যাট ও গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন ফি ব্যাংক চালান এর মাধ্যমে পরিশোধ করে বিআরটিএ অফিসের গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন ও প্লেট নাম্বারের জন্য জমা দিতে গেলে বি.আর.টি কর্তৃপক্ষ ব্যাংক চালানসহ যাবতীয় কাগজপত্র গ্রহণ করতে অসম্মতি জানান।

২০২১ সালের পর থেকে মৌলভীবাজার বি.আর.টি অফিস থেকে নতুন কোনো রেজিষ্ট্রেশন বা কোনো প্লেট নাম্বার দেওয়া হচ্ছেনা। ২০২১ সালে গাড়ীর সিরিয়াল নম্বার ছিল ১২, বর্তমানে মৌলভীবাজারে এই নাম্বারের গাড়ীর কোনো অস্তিত নাই। কিন্তু গাড়ীর শো-রুম থেকে কিস্তিতে গাড়ী ক্রয় করে বের করার সাথে সাথে চক্রবৃদ্ধি সুদসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকা মাসিক কিস্তি পরিশোধ করিতে হয়। কিন্তু বিআরটি অফিস মৌলভীবাজার থেকে রেজিস্ট্রেশন (প্লেট নাম্বার) পেতে বিলম্ব হওয়ার কারনে প্লেট নাম্বার বিহিন সিএনজি গাড়ী রাস্তায় চালানো যায় না।

এদিকে প্রতি মাসে শো-রুমের কিস্তি ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়। ফলে আবারও সিএনজি মালিক ও চালকরা চড়াসুদে দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা ধার করতে হয়। পরিবারের সচ্ছলতা ও আয় রোজগারের আশায় ক্রয় করা সিএনজি নিয়ে বাধ্য হয়ে রেজিঃ বিহীন গাড়ী রাস্তায় চালাতে হয়। এ সময় তাদেরকে পড়তে হয় ট্রাফিক আইনের আওতায়। রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ী আটক করে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেয়। মামলার জরিমানা পরিশোধ ও ৫/৭ দিন গাড়ী জব্দ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করে তারা। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে শো-রুমের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে শো-রুম গাড়ী জব্দ করে বিক্রি করে ফেলে। এভাবে এক সময় সব কিছু হারিয়ে ঋন গ্রন্থ হয়ে পড়ে গাড়ী মালিকরা।

সবকিছু হারিয়ে এক সময় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বি.আর.টি অফিসের সহকারী পরিচালকের সাথে বার বার যোগাযোগ করে কোনো সদুত্তর মেলেনি বলে দাবী করেন। বিষয়টি নিয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহন না করলে শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা অচিরেই ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করবে বলে ঘোষনা দেন নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন,
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- চট্ট ২৩৫৯)এর সভাপতি, বাংলাদেশ সিএনজি অটো-রিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি বাংলাদেশ হালকাযান শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি রেজি: নং-বি ২১৮১, ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল মৌলভীবাজার জেলা। মো: সেলিম আহমদ, সাধারন সম্পাদক শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি জীবান আহমদ, হারুনুর রশীদ, মনসুর আহমদ, মাহমুদ, বাবলু আহমদ, রুমন প্রমূখ।