Sharing is caring!
সালেহ আহমদ (স’লিপক):
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ২নং মনুমুখ ইউপির ৭নং ওয়ার্ডস্থ আড়াইহাল আখঞ্জী বাড়িতে হযরত শাহ আমানী শাহ (রহ.) মাজারে বাৎসরিক পবিত্র ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) চিরাচরিত প্রথানুযায়ী ওরস মোবারক উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে খতমে কোরআন, মাজার জিয়ারত, মিলাদ ও মোনাজাত মাহফিল এবং শিরণী বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভক্ত আশেকান সহ এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পবিত্র ওরস মোবারকের সার্বিক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করে বর্তমান মোতাওয়াল্লী সাংবাদিক দুরুদ আহমেদ বলেন, প্রায় ৩০০ বছর ধরে এ মাজারে ওরস চলে আসছে। প্রতি বাংলাবর্ষের পৌষ মাসের শেষদিন হযরত শাহ আমানী শাহ (রহ.) মাজারে ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি জানান, হযরত শাহ আমানী শাহ (রহ.) পীরসাহেব পাশ্ববর্তী মিরপুর এলাকা থেকে হিজরত করে এখানে এসে হুজরাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। পীরসাহেবের ওফাতের পর থেকে এখানে মাজার প্রতিষ্ঠা হয়। তখন থেকেই জাঁকজমকপূর্ণ ওরস মোবারক পালন হয়ে আসছে। এখানে ওরসে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সের লোকজন ও ভক্তবৃন্দ আসতেন। ওরস উপলক্ষে মাজারকে ঘিরে ছোটখাটো মেলা বসতো। মেলায় এলাকার লোকজন নানানজাতের পণ্যসামগ্রী, খেলনা, ইমিটেশন, খাবারের দোকান আগতদের কাছে বিক্রি করতেন। বেচাবিক্রিও তেমন খারাপ হতে না।
তিনি আরো জানান, ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি এই মাজার প্রাঙ্গণে কোনো গান বাজনা, অশ্লীলতা কিংবা নানা ফন্দিফিকিরে টাকা উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। পাশ্ববর্তী মিরপুর এলাকা থেকে ভক্তবৃন্দ ও আশেকানরা ওরস উপলক্ষে গরু নিয়ে এসে জবাই করে শিরণী করা হতো। বিগত ৩/৪ বছর নানান কারণে ওরস বন্ধ ছিল। গত বছর (২০২৪ইং) থেকে আমি দায়িত্ব নিয়ে মখতছরভাবে আবারো পবিত্র ওরস মোবারক শুরু করেছি। লন্ডন প্রবাসী আমার চাচাতো ভাই মাজারের খাদেম শানুর মিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় শরিয়ত সম্মত ভাবে এ ওরস মোবারক জারি রাখার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।