Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন জজ আদালতেও নাকচ হয়েছে। ইস্কনের বহিষ্কৃত নেতা তিনি।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পিপি মফিদুল হক ভূইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
চিন্ময়কে এদিন আদালতে হাজির করা হয়নি। আদালতে আইনজীবীর উপস্থিতিতে আসামির ভার্চুয়াল হাজিরায় জামিন শুনানি হয়।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানিয়ে বলেছে, এটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, এর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। কেউ সংক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতে যাবার সুযোগ রয়েছে৷
চিন্ময় দাশের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য বলেন, জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
গত ২৬ নভেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হলে ওই দিনই চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি হয় ৩ ডিসেম্বর। কিন্তু ওই দিন চিন্ময়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করে।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। কিন্তু ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে রবীন্দ্র ঘোষ নামের এক আইনজীবী এসে চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না করায় আদালত তা নাকচ করে পূর্ব নির্ধারিত তারিখে জামিন শুনানির দিন ধার্য রাখেন।
এর আগে, গত ২৫ নভেম্বর বিকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
বিকালে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ হত্যা মামলা করা হয়। নিহত সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরেকটি মামলা হয়। মামলার কয়েকজন আসামি ইতোমধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।র