টাইমস নিউজ
নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরে বিনামূল্যের বই ছাপানোর কাজ চলছে। এর মধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা বইয়ের শেষপাতায় স্থান পেয়েছে জাতীয় সংগীত ও পতাকার ছবি। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। সব সময় বইয়ে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ছবি শুরুতে স্থান পেয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
শিক্ষাবিদরা বলেছেন, পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় রেখে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার অমর্যাদা করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমন নজির নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার দেরিতে বই ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই পুরোদমে ছাপার কাজ চলছে। নতুন ছাপা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ?‘আমার বাংলা বই’ ঘেঁটে দেখা গেছে, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ছবি প্রতিটি বইয়ের শেষে দেওয়া হয়েছে।
প্রথম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় জাতীয় ফুল শাপলা ও গ্রাম বাংলার ইলাস্ট্রেশন রয়েছে। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় সম্পাদনা পর্ষদের তথ্য প্রসঙ্গ কথা ও সূচিপত্রের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এরপর সপ্তম পৃষ্ঠা থেকে বইয়ের মূল পাঠ শুরু। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা বই এভাবে সাজানো হয়েছে।
বিগত বছরের আমার বাংলা বইয়ে দেখা গেছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদের পরে জাতীয় পতাকা নির্মাণের তথ্যসহ ছবি রাখা হয়েছিল। পরের পৃষ্ঠায় জাতীয় সংগীত এবং গাওয়ার জন্য জাতীয় সংগীতের পূর্ণপাঠ ছিল।
জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম ও শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা ভালো বলতে পারবেন। তারা হয়তো আলাপ-আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা রয়েছে।
তবে পাঠ্যবইয়ে কেন এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা কেউই এ বিষয়ে জানেন না বলে দাবি করেছেন। এমনকি বই পরিমার্জন কমিটির সদস্যরাও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন না।
জানতে চাইলে সমন্বয়ক কমিটির সদস্য রাখাল রাহা বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ের পরিমার্জন এবং পরিবর্তনের জন্য আলাদা কমিটি কাজ করেছে। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। তবে এর জন্য শিশুদের দেশাত্মবোধ কিংবা আত্মপরিচয়ে কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।’
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, বাংলা বইয়ের জাতীয় সংগীত ও পতাকার বিষয়টি কোনো মুদ্রণ ত্রুটি নয়। এটি এমনভাবে ছাপানোর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2024 RED TIMES. All rights reserved.