মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী
"মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ এবং শিক্ষকও কর্মচারীদেরকে নানাভাবে হয়রানির বিরুদ্ধে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে ৭ এপ্রিল দুপুর ১২: ৩০ মিনিটের সময়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।"
"সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয় প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে দুর্নীতি ও অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। "
"পরবর্তীতে ২০১৬ ইং সালে থেকে বিভিন্ন ভাবে বিদ্যালয়ে দূর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতাও শুরু করেন। "
"সিনিয়র শিক্ষক শ্যামলী রানী চন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বরখাস্ত করার ফাঁদ তৈরি করেন হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা রাশেদা বেগম। "
"সহকারী শিক্ষক মিফতাহুজ্জামান সাজুর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। "
"সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন অভিভাবক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা, লেখক ও গবেষক ডঃ মুহাম্মদ আবু তাহের এডভোকেট, সহযোগী সম্পাদক দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা ঢাকা, বিশেষ প্রতিনিধি মৌলভীবাজার দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ঢাকা।"
"এছাড়া সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক সরওয়ার আহমেদ সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। "
"২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীন কোন অডিট কার্যক্রম নেই। ম্যানেজিং কমিটিতে থাকা শিক্ষক প্রতিনিধিরা অডিট এর কথা বললে তিনি নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তা এড়িয়ে যেতেন।"
"তিনি তার নিজস্ব লোকজনকে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতেন। তারা দিনের পর দিন অনুপন্থিত থাকলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নিতেন না। বিধি মোতাবেক প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন থেকে বঞ্চিত ছিলেন। "
"নতুন শিক্ষকদের বাড়ী ভাড়ায় তিনি চরম বৈষম্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে । অনলাইনে বেতনও ভর্তি ফি নেয়ার কথা থাকলেও তিনি রশিদ ও ভাইচার ছাড়া হাতে হাতে টাকা গ্রহণ করতেন ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের সাথে তিনি সবসময় দুর্বব্যবহার করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে। "
"বিদ্যালয়ের মুল তহবিলে এফডিআর হিসেবে ৩৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৬ টাকা থাকার কথা থাকলেও এর উল্লেখযোগ্য অংশ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।"
২০১৭ইং সালের অডিট রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ ১ হাজার টাকা তছরুফের অভিযোগ উঠলে তিনি কৌশলে ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে তার মনমতো কমিঠি গঠন করে সে যাত্রা রক্ষা পান বলে জানা যায়।
বিভিন্নসময়ের রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ধরা পড়লেও তার বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।"
"তিনি নিজেকে রক্ষা করতে বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) সহ ৭ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন যাতে তার দায়িত্ব পালনে কোন বাধা সৃষ্টি করা না হয়। সে মর্মে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং মামলা নং ৫২/২০২৫ দায়ের করেন।"
"সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র শিক্ষক শ্যামলী রানী চন্দ ও সহকারী শিক্ষক মিফতাহুজ্জামান সাজু সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ এবং শিক্ষকও কর্মচারীদেরকে নানাভাবে হয়রানির পিছনে তিনি প্রভাবশালী নেতাদেরও ব্যবহার করতেন। "
"এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গভীরতা থাকায় অনেক বিষয় 'গোপনে তাদের নিয়ে বৈঠক করে অপকর্ম চালিয়ে দামাচাপা দিয়ে দিতেন। "
"এইপরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং বিদ্যালয়টি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার জন্য শিক্ষকরা সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।"
"সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত প্রধান অতিথি অভিভাবক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা, লেখক ও গবেষক সহযোগী সম্পাদক দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা ঢাকা, বিশেষ প্রতিনিধি মৌলভীবাজার দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ডঃ মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন যে সমস্ত সংবাদকর্মী অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেন তারা যদি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন তাহলে সত্য ঘটনা সমাজে সকলের কাছে প্রকাশিত হবে। এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে বলে উল্লেখ করেন।
"তিনি আরো বলেন সংবাদকর্মীরা সমাজের দর্পন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে সত্য প্রকাশ করাই একজন সংবাদকর্মীর কাজ। " তাই তিনি উপস্থিত সকল সংবাদকর্মীদের প্রতি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করার আহ্বান জানান। "
"সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।"
সংবাদ সম্মেলনে এর বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিনিয়র শিক্ষক শ্যামলী রানী চন্দ, তৈয়ব আলী মীর এবং মিফতাহুজ্জান সাজু।"
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন "সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা, নিরমল চন্দ্র কপালী,শান্তনা রানী,আফরোজা খাতুন, সেলিম রেজা,সরোয়ার হোসেন বাদল,সুমন কান্তি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক ফোরাম এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ ।"
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.