Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশে শুক্রবার) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মামলা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? সাংবাদিকের এ প্রশ্নে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘সর্বশেষ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমার দল খোঁজখবর নেবে। আমরা আপনার জন্য কিছু করতে পারলে আনন্দিত হব।’
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার (বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গুমসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রশ্ন ওঠে। একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে গুম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। তদন্ত কমিশন গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। বাংলাদেশে গুমে জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয় নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
জবাবে প্যাটেল বলেন, গত দুই দশকে শত শত বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে এমন প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন যা ভুক্তভোগীদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা নিখোঁজ হওয়ার মতো ট্রমা বা মানসিক যন্ত্রণা দেয়। এটি তাদের পরিবারের ওপর অনিশ্চয়তার ট্রমা সৃষ্টি করে। আমরা এই অপরাধের তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করছি।
সাংবাদিক আরও জানতে চান, ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার; এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
জবাবে প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির যে ঘোষণা দিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। নির্বাচনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণ প্রকৃতপক্ষে তাদের জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে। যে সময়সূচির কথা বলা হয়েছে, সেটা আমাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বাস্তবায়নকে আমরা উৎসাহিত করছি। পুরো বিশ্বেই আমাদের অবস্থান অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে।