আজ মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে যা বললেন ভারতের মুখপাত্র

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে যা বললেন ভারতের মুখপাত্র

Sharing is caring!

টাইমস  নিউজ

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারত এখনো কোনো মন্তব্য করতে প্রস্তুত নয়। এক সপ্তাহ আগে এই প্রশ্নে ভারত যেমন নিরুত্তর ছিল, এখনো ঠিক তেমনই।

শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তিস্বীকারের বাইরে তেমন কিছু বলার নেই।’

এদিকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে এদিন হিন্দুস্তান টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেই দাবি বিধিসম্মতভাবে করেনি। তাছাড়া চুক্তি অনুযায়ী ওই দাবি গ্রাহ্য না হওয়ার আরও অনেক কারণ আছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওই প্রতিবেদন নিয়ে এদিন কোনোরকম আলোকপাতই করেননি।

ব্রিফিংয়ে সনাতন ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের দাবি খারিজ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়সোয়াল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, ওই ঘটনায় যাদের ধরা হয়েছে, তারা সুবিচার পাবেন। বিচার ন্যায্য হবে।’

ব্রিফিংয়ে তুরস্কের একটি সংস্থা থেকে বাংলাদেশের সামরিক ট্যাংক কেনার খবর নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। বাংলাদেশের ওই সিদ্ধান্ত ভারতের প্রতি কোনো বার্তা কি না- জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর ভারত সব সময় তীক্ষ্ণ নজর রাখে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

জয়সোয়াল এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের সময়ে দেওয়া বিবৃতির কথা নতুন করে মনে করিয়ে দেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত এক গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও সব শ্রেণির মানুষ নিয়ে গঠিত বাংলাদেশকে দেখতে চায়। সমর্থন করতে চায়।

জয়সোয়াল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহের কথাও পররাষ্ট্রসচিব জানিয়ে এসেছেন, যা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ওপর ভিত্তিশীল এবং যা পারস্পরিক স্পর্শকাতরতা, উদ্বেগ ও স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়।

মুখপাত্র বিবৃতির কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, সম্পর্কের মূল লক্ষ্য দুই দেশের জনগণের কল্যাণ।

ব্রিফিংয়ে দুই দেশে ধরা পড়া জেলেদের মুক্তির বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। ৫ জানুয়ারি ৯৫ জন ভারতীয় ও ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে দুই দেশ থেকে মুক্তি পাবেন।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিদের ধরপাকড় ও ফেরত পাঠানোর ঘটনা বেড়ে গেছে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ভারতীয় মুখপাত্র বলেন, অবৈধভাবে দেশে ঢোকা মানুষদের খুঁজে বের করা ও ফেরত পাঠানো নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ। তারা সেই কাজ করছেন।