আজ মঙ্গলবার, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃটেনের কার্ডিফে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৪:২৩ অপরাহ্ণ
বৃটেনের কার্ডিফে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

Sharing is caring!

প্রেসবিজ্ঞপ্তি:

বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার (১৯শে জানুয়ারি) রাত ৯ টায় এক আলোচনা সভা ও ডিনারপার্টির আয়োজন করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি  প্রাক্তন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা এম.এ.মালিক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়েলস আওয়ামী লীগের  সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম নজরুল, সহ সভাপতি এস এ রহমান মধু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মোসাদ্দেক আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, ওয়েলস যুবলীগের সাবেক  সভাপতি জয়নাল আহমদ শিবুল, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, সহ সভাপতি রকিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বি রুনেল, ওয়েলস ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুল হক মনসুর, সাবেক যুবনেতা সাজেল আহমেদ সহ সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন বঙ্গবন্ধুর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন। স্বয়ং জাতির পিতা তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দিনটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। অথচ আজকের অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলাদেশ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিসাৎ করার এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। রাষ্ট্রাচার থেকে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস, সংবিধান দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বরণের দিবস বা জাতীয় শোক দিবসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিবস বাতিল করা হয়েছে। এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিবাদ করে চলেছে।

ওয়েলস আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, প্রাক্তন  ছাত্রনেতা এম.এ.মালিক বলেন ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উত্সবের আমেজ। পুরো দেশের মানুষই যেন জড়ো হয়েছিল তেজগাঁওস্থ ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায়। বঙ্গবন্ধু বিজয়ের বেশে নামেন বিমান থেকে। পা রাখেন লাখো শহীদের রক্তস্নাত স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে। গোটা জাতি সেদিন হর্ষধ্বনি দিয়ে তেজোদীপ্ত ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে তাদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানায়।

সভা থেকে বক্তারা আজকের অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের মর্যাদা হানি করার জন‍্য  যেসব ষড়যন্ত্র করছে এর  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

প্রেসবিজ্ঞপ্তির পক্ষে ; শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, দপ্তর সম্পাদকযু,ক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ,ওয়েলস শাখা, ১৯ শে জানুয়ারি ২০২৫ ইংরেজি।