আজ বুধবার, ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিল্লিকে অবৈধ বাংলাদেশিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০২:০৪ অপরাহ্ণ
দিল্লিকে অবৈধ বাংলাদেশিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি

Sharing is caring!

টাইমস  নিউজ

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লিকে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি । দলটির নেতা ও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রোববার এ ঘোষণা দেন। পাশাপাশি, তিনি দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিকে ‘অবৈধ আয় পার্টি’ বলেও আখ্যা দেন। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রোববার দিল্লিতে ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টিকে (এএপি) ‘অবৈধ আয় পার্টি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, গত দশ বছরে আম আদমি পার্টি হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে।

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিয়ে অমিত শাহ নারেলার একটি জনসভায় ভাষণ দেন। সেখানে তিনি পূর্বাঞ্চলীয় ভোটারদের প্রসঙ্গ তোলেন। পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং বিহার থেকে আসা এই জনগোষ্ঠী দিল্লির অন্যতম বৃহত্তম ভোটার গোষ্ঠী।

অমিত শাহ আরও বলেন, যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তবে দুই বছরের মধ্যে দিল্লি থেকে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি দাবি করেন, বিজেপি দিল্লিকে এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত করবে এবং নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করবে।

অমিত শাহের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে আম আদমি পার্টি (আপ) বলেছে, বিজেপির আসল লক্ষ্য দিল্লির উন্নয়ন নয়, বরং কেবল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করা। দলটি এক বিবৃতিতে বলেছে, বিজেপির দিল্লির উন্নয়নের কোনো পরিকল্পনা নেই এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র নেতিবাচক প্রচারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ। অমিত শাহকে জবাব দিতে হবে—দিল্লির ভঙ্গুর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে গত দশকে তারা কী করেছে? তাদের একমাত্র কাজ ছিল দিল্লির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং সেই কাজেও তারা ব্যর্থ।

আম আদমি পার্টি আরও দাবি করে, দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। অথচ শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়েছে। বিজেপি শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই করছে না।

এই বিবৃতি ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যে দিল্লির রাজনীতি এখন তীব্রভাবে উত্তপ্ত। বিজেপি ও এএপি উভয়েই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।