আজ শুক্রবার, ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিলেত থেকে বিশ্বের ৫০ মানবাধিকার সংস্থায় ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে পিটিশন

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০৬:৫৩ অপরাহ্ণ
বিলেত থেকে বিশ্বের ৫০ মানবাধিকার সংস্থায় ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে পিটিশন

Sharing is caring!

 

লন্ডন থেকে আজিজুল আম্বিয়া

 

বিশ্বের ৫০টি  মানবাধিকার সংস্থায় ড. মুহাম্মদ  ইউনুসের বিরুদ্ধে পিটিশন দেয়া হচ্ছে ।
বুধবার বিকাল ৩ টায় ইস্ট লন্ডনের হোয়াইটচ‍্যাপেলে যুক্তরাজ‍্য আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন ,সলিসিটর ও ব‍্যারিস্টার সাইয়িদ আবেদীন ও ইকনোমিস্ট ড. আরিফ খান এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে এর অফিসে সংবাদ সম্মেলন হয় । আয়োজকরা জানান, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অসংবিধানিক সরকার রয়েছে তার অধীনে যেসব ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন সংঘটিত হয়েছে এবং হচ্ছে গত প্রায় সাত মাস তা গোটা বিশ্ব দেখেছে এবং দেখছে । এই সময় বাংলাদেশের যে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সংঘটিত হয়েছে তা পৃথিবীর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আর এসব প্রকাশিত খবর এবং প্রতিদিনের ভিত্তিতে ডক্টর ইউনুসের সরকারের অধীনে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার ঘটনা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের ঘটনা প্রকাশ করেছে। একটার সাথে একটা পিটিশন দিয়ে বিশ্বের ৫০ টা লিডিং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছি|
আর এই কাজটা শুরু হবে নোবেল পিস কমিটিতে পাঠানোর মধ্য দিয়ে । যে ৫০ টা অর্গানিক অরগানাইজেশনে এটা পাঠাবো তার লিস্ট আপনাদের দিয়ে দেব তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা হল aministry international, human rights watch, United Nations Human Rights Council (UNHRC), Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights (OHCHR) ,International Federation for Human Rights (FIDH),Human Rights Foundation (HRF) ইত‍্যাদি। তারা বলেন, শুরুতে একটা কথা বলতেই হয় ,আপনারা জানেন বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের কোন অস্তিত্ব নেই এখন আর তাই বিশ্ব গনমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে ঘটেছে তার খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ আমরা দেখতে পেয়েছি। তাই বিশ্ব গণমাধ্যমের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা এই রচনায় যে ব্যাপক এবং ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ডক্টর ইউনুস সাহেবের রেজিমে তা পুরোপুরি তুলে ধরা সম্ভব হয়নি । তাই এইসব অত্যাচার অপরাধে আক্রান্তের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।এই রচনার জন্য আমরা বিশ্ব গণমাধ্যমকে বেছে নিয়েছি এটা যাতে অবজেকটিভ হয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
৭৬ টা স্বীকৃত গণমাধ্যম সংবাদ সংস্থা এবং সোর্স থেকে প্রকাশিত খবর এবং প্রতিবেদন নিয়ে এটা তৈরি করা হয়েছে। আপনাদেরকে লিস্টটা দিয়ে দেবো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা নাম বলছি সেগুলো হল বিবিসি, ভয়েজ অব আমেরিকা, ডয়চে ভেলে, এপি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, রয়টারস, আল জাজিরা, পিটিআই, দি গার্ডিয়ান, দ‍্যা টেলিগ্রাফ, দ‍্যা ডেইলী স্টার, লা মন্ডে এবং আরো অনেক।
অন্তত ৩০০০ টা প্রকাশিত নিউজ এবং আর্টিকেল থেকে প্রায় ২০০ টা খবর এবং আর্টিকেল তুলে ধরেছি। এই নিউজ এবং আর্টিকেল গুলোর প্রিন্ট কপি অথবা পিডিএফ কপি ছবি দিয়ে এখানে প্রেজেন্ট করা হয়েছে । যাতে একজন রিডারের মনে কোন সন্দেহ না থাকে কারণ সিং ইজ বিলিভিং একটা সূচিপত্রের মাধ্যমে অনলাইন লিঙ্কগুলো দিয়ে দিয়েছি যাতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো খুব সহজে ভেরিফাই করতে পারেন কাজটা খুব কষ্টসাধ্য ও পেন্সটেকিং ছিল আমার জন‍্য।তুলে ধরেছি গত সাত মাসের অসংখ্য মানুষ হত্যার ঘটনা । হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা যেটা দেখতে পেরেছি এখানে অনেক আওয়ামী লীগের সমর্থক, আওয়ামী লীগের কর্মী , সনাতন ধর্মাবলম্বী, সাংবাদিক এবং পুলিশও আছেন ।আমরা রিপোর্টগুলো থেকে এটাও দেখতে পেয়েছি যে দুই হাজারের অধিক সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হয়েছে। বিশেষ করে সনাতন ধর্মালম্বীদের উপর।
জেল হাজতে পুলিশ হেফাজতে অবস্থায় অন্তত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অসংখ্য রাজনীতিক নেতাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে লাখখানেক মামলা করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতিহিংসামূলক রক্ষাধিক ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে আক্রমণ করা হয়েছে ৫০ হাজারের অধিক ছাত্রকে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত করা আছে কারণ তারা ছাত্রলীগ করেন। ৪.৩ মিলিয়ন মানুষের ডিসিপি কার্ড বাতিল করা আছে যারা হত দরিদ্র এবং বঞ্চিত এবং এক একটা পরিবারের চারজন করে সদস্য ধরা হলে দুকোটি মানুষ জীবনের প্রয়োজনীয় খাবারের থেকে এখন বঞ্চিত হচ্ছে যেটা একটা নিরব দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে বাংলাদেশে এবং তাদের জীবনে ভয়াবহ দুর্বিষহ নেমে আসছে। অন্যদিকে ডঃ ইউনুস সাহেব ক্ষমতায় আসার পর ওনার ট্যাক্স মাফ করে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে এবং আমরা লক্ষ্য করেছি রিপোর্টগুলোতে অতিথি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং করছেন।আমরা এটাও দেখেছি বাংলাদেশে আন প্রেসিডেন্ট জোর করে শিক্ষককে পদত্যাগ করে বিচারপতিকে করানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করছেন তারা পদত্যাগ করানো এবং নিজেদের পছন্দ মতো লোক বসিয়ে দেওয়া এটা বাংলাদেশের কখনো এর আগে ঘটেনি এবং এতে কিছু কিছু লোক মারাও গিয়েছেন এই মব ভায়োলেন্স।কিন্তু আইন করা হয়েছে অধ্যাদেশের মাধ্যমে অগাস্টের ৮ তারিখ পর্যন্ত যে সমস্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে যারা এগুলো করেছেন তাদের কোন বিচার করা যাবে না তাদেরকে কোন ইনভেস্টিগেশন এর আওতায় আনা যাবে না এটাই করেছেন ডঃ মুহাম্মদ দেখতে পেয়েছি।কিন্তু এইসব ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অথবা মানবতা বিরোধী অপরাধের কথা কে বলবে একমাত্র স্বাধীন সাংবাদিক সাংবাদিকতা অথবা প্রেসিডেন্ট যদি থেকে থাকে তাহলে এগুলো পরিপূর্ণভাবে আমরা জানার সুযোগ পেতাম কিন্তু আমরা জানি এখন বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিক সাংবাদিকতার মৃত্যু ঘটেছে আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী।
আমরা এসব রিপোর্ট থেকে দেখতে পাই যে অন্তত ১৫৭ জনের এক রেশন লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ অন্তত ৩৫৪ জন জার্নালিস্ট কে নানাভাবে হ্যারাস করা হয়েছে অন্তত ১১৩ জন ক্রিমিনাল চার্জ ১১৩টা ক্রিমিনাল চার্জ ফাইল করা হয়েছে। এবং অন্তত 74 টা ভায়োলেন্স সংঘটিত হয়েছে সাংবাদিকদের উপর। এবং কোন নিউজ প্রকাশিত হবে এবং কোনটা হবে না কোন সাংবাদিক চাকরি করবেন অথবা করবেন না এ সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন ডঃ ইউনুস এর রেজিমেন্ট এর সহযোগীর ছাত্র সমন্বয়করা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রেজিম।
তাই আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি সমস্ত রিপোর্ট ঘাটাঘাটি করে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কাকি রিপ্রেসেন্ট করছেন উনি কাদের সাথে কাজ করছেন উনি কার কাজ করছেন এবং এই সমস্ত রিপোর্ট আমাদেরকে জানিয়ে দেয় যে উনি ওনাকে যে ছাত্র সমন্বয়করা ক্ষমতায় বসেছে ওরা মূলত ছাত্রশিবির হিজবুত তাহের আইসিস ইসলামিক দলের সদস্য যারা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ।
যারা মূলত বাংলাদেশের জামাতে ইসলামের রাজনীতিকে রিপ্রেজেন্ট করে এবং যারা স্বাধীনতার চেতনার বিপক্ষে এজন্যই তারা ডঃ মোঃ ইউনুসের যে কমিশন সেই কমিশন রেফার করেছে সাজেস্ট করেছে যে স্বাধীনতার মূল চেতনা অর্থাৎ সমাজতন্ত্র তার ধর্মনিরপেক্ষতা জাতীয়তাবাদ এগুলো সংবিধান থেকে ওরা তুলে ফেলতে চান। এজন্যই তাদের শত্রু ও বঙ্গবন্ধুর বাড়ি মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার চেতনা কে তারা মুজিব বাদ বলছেন তো এই জন্য বঙ্গবন্ধুর বাড়িও তারা জানিয়ে দিয়েছেন আর এজন্যই ডঃ ইউনুস চোখের সামনে আর্মির সামনে পুলিশের সামনে যখন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে ওদেরকে বিচারের আওতায় আনছেন না অথবা ওনাদেরকে থামিয়ে দিচ্ছেন না বরং যারা অপরাধ করছেন ঘোষণা দিয়ে বিশেষ করে গাজীপুরে রিসেন্টলি যে আক্রমণ করেছেন এবং সাধারণ জনতা আক্রমণ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন আত্মরক্ষার জন্য সেই প্রতিবাদী জনতা কেউ উনারা এরেস্ট করছেন অত্যাচার করছেন অপারেশন ডেভিল হান্তের নামে এটাও অনেক রিপোর্ট এসেছে আর যারা এই অপরাধ করছেন তাদের রাস্ট্র সুরক্ষা দিচ্ছে। যেটকে স্টেট স্পন্সর টেরোরিজম বলা যায়।
আমরা এইসব ঘটনা এবং আরও অনেক কিছু আন্তর্জাতিক রিপোর্টের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরব যাতে এগুলো বাংলাদেশের বন্ধ হয়।