আজ সোমবার, ৩১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে উদ্ধার করা হলো কবি হেলাল হাফিজের রক্তাক্ত মরদেহ

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ণ
যেভাবে  উদ্ধার করা হলো কবি হেলাল হাফিজের রক্তাক্ত মরদেহ

Sharing is caring!

টাইমস নিউজ 

চলে গেছেন প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগের একটি হোস্টেল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, হোস্টেলের কমন ওয়াশরুমে পড়ে ছিল তার রক্তাক্ত মরদেহ।

 

বর্তমানে কবির মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রাখা হয়েছে।

শাহবাগ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে হোস্টেলের একটি কমন ওয়াশরুমে যান কবি হেলাল হাফিজ। ওয়াশরুমে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরেও তার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে হোস্টেলের অন্য রুমের বাসিন্দারা বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তখন তারা দেখেন কবি হেলাল হাফিজ ওয়াশরুমে পড়ে রয়েছেন এবং তার মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খলিল মনসুর বলেন, শাহবাগের ওই হোস্টেলের একটি কক্ষে থাকতেন কবি হেলাল হাফিজ। দুপুরে তিনি হোস্টেলের একটি কমন ওয়াশরুমে যান। অনেকক্ষণ হলেও তিনি ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছিলেন না। পরে হোস্টেলের অন্য রুমের সদস্যরা ওয়াশরুমের সামনে এসে ডাকাডাকি করলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে তারা বাধ্য হয়ে ওয়াশরুমের দরজা ভাঙেন। দরজা ভেঙে দেখতে পান কবি হেলাল হাফিজ ওয়াশরুমের ফ্লোরে পড়ে রয়েছেন এবং তার মাথা ফেটে অনেক রক্ত বের হয়েছে।

তিনি যোগ করেন, আমাদের প্রাথমিক ধারণা স্ট্রোক বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি বাথরুমে পড়ে যান। বাথরুমের বেসিনটিও ভাঙা ছিল। আমাদের ধারণা– তিনি বেসিনের ওপর পড়ে যান। তখন বেসিন ভেঙে যায় এবং উনার মাথা ফেটে যায়।

প্রসঙ্গত, কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বোহেমিয়ান জীবন কাটানো কবি দীর্ঘকাল সাংবাদিকতা করেন। তার পাঠকপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয় দেশ ১৯৮৬ সালে।

এর ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। ২০১৯ সালে প্রকাশ পায় কবির আরেকটি কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’। কবিতায় অসামান্য অবদানের স্মারক হিসেবে হেলাল হাফিজকে ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান এই কবি।