আজ রবিবার, ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ণ
যে কারণে  শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন  গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা

Sharing is caring!

টাইমস নিউজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না অভিযোগ করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তারা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেন।

এদিকে, সড়ক অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে ফার্মগেটমুখী সড়কের একপাশে যান চলাচল পৌনে ১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ঘটনাস্থলে এসে আহতদের বুঝিয়ে তাদের হাসপাতালে নেন।

আহতরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। চিকিৎসক-নার্সরা ঠিকমতো খোঁজ রাখেন না। বিষয়টি বারবার বলার পরেও কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য সড়কে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছেন। হাসপাতাল পরিচালকের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এক আন্দোলনকারী বলেন, আমি চট্টগ্রামে আন্দোলনের সময় আহত হয়েছি। আমাদের উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অথচ হাসপাতালে ভর্তির পরে ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। নার্সরা সময়মতো কেবিনে থাকেন না। কোনো কিছু বললেও গুরুত্ব দেন না। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল পরিচালককে বলা হলেও গুরুত্ব দেননি। এজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

বিএসএমএমইউর সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ যুগান্তরকে বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ২২ জন কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে কিছুদিন ধরে একই খাবার খেতে না চাওয়া, নার্সরা ঠিকমতো উপস্থিত থাকে নাসহ বেশ কিছু অভিযোগ করেছিলেন তারা। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে খাবারের মেন্যু পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া এক নার্সকেও শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শনিবার তাদের সঙ্গে বসে সুন্দর সমাধান করা হবে। তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর যুগান্তরকে বলেন, আন্দোলনে আহতরা উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না এমন অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে আধা ঘণ্টার মতো রাস্তার একপাশে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সমন্বয়কসহ অনেকে এসে তাদের বোঝালে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে হাসপাতালে ফিরে যান। সাড়ে ৭টার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।