Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়কদের একজন নওসাজ্জামান।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হলে পোড়ানো কুরআন শরিফ উদ্ধারের পর এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবিরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর জানা যায় সমন্বয়ক নওসাজ্জামান শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক।
এ নিয়ে আবারও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে ক্যাম্পাসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নওসাজ্জামানকে ট্যাগ করে রিয়াদ হোসেন নামে একজন লিখেছেন- ‘তুই কী মানুষ না অন্যকিছু বন্ধু? এতদিন তোর সঙ্গে মিশেছি, অথচ কখনো তোর চালচলন দেখে মনেই হয়নি যে তুই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজন সদস্য।’
সাইফুল ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘প্রথম থেকেই আপনাকে দেখে শিবির শিবির মনে হতো। এখন দেখি আমার মনে যা বলে, তাই ঠিক।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. নওসাজ্জামান রাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটিতে তিনি প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ যুগান্তরকে, তিনি আমাদের ছাত্রশিবিরের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। পূর্বে ক্যাম্পাসের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল সেজন্য তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। নতুন কমিটির পূর্বে তিনি আমাদের ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হলে পোড়ানো কুরআন শরিফ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে- রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাবি শাখা ইসলামি ছাত্রশিবির ও ছাত্র ফেডারেশন। এছাড়া রোববার বিকালে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।