Sharing is caring!
জাফর ইকবাল মৌলভীবাজার থেকে,
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার প্রেমেনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোদের জের ধরে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার(২৩ নভেম্বর) প্রেমনগর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ও মৌলভীবাজার থেকে সেনা বাহিনী ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আহতরা হলেন, মালিকোনা গ্রামের আছকির মিয়া(৪৫), প্রেমনগর গ্রামের ইসকার মিয়া(৫৫), আপেল মিয়া(২৫), আক্তার মিয়া(২৫), অপর পক্ষের আবু তাহের দেনু, মুকিদ মিয়া, মুজহিদ মিয়া সহ ১০ জন।
স্থানীয়রা জানান, শ্বাসমহল মৌজার ১০৯/১১২ আর,এস দাগে প্রেমনগর গ্রামের দেবীশিংগের জাঙ্গালের রাস্তা হইতে মনু নদীর পাড় পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা মালিকোনা দাবী করে মো: শিবলী মিয়া, মাহমুদ মিয়া, শহীদ মিয়া গং বাশেঁর খুটি দিয়ে বেড়া নির্মাণ করে স্থানীয় এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তায় বাঁধা সৃষ্টি করেন।
অপর দিকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী প্রেমনগর, মালিকোনা, শ্বাস মহল, আশ্রায়ন কেন্দ্রের চলাচলকারী লোকজন সরকারী রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ এনে ৮ নং মনসুরনগর ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির সহ রাজনগর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেন।
রাজনগর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে ইতিমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। শনিবার উভয় পক্ষ রাস্তায় খুটি পুতে রাখা ও চলাচলের বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা নওফল মিয়া, আব্দুল গফুর, মো: আলিকুর রহমান, নওশাদ মিয়। আয়শা বেগম, জানান, উক্ত রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসী স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা কবরস্থানে যাতাযাত করেন। এমনকি বর্তমানে আমন ধান কাটা চলছে। প্রেমনগর, মালিকোনা, শ্বাস মহল, আশ্রায়ন কেন্দ্রের চলাচলকারী লোকজন এই রাস্তা দিয়ে ক্ষেকের ধান বাড়িতে নিয়ে আসার একমাত্র রাস্তা। কিন্তু শিবলী মিয়া, মাহমুদ মিয়া, শহীদ মিয়া গংরা উক্ত রাস্তায় বাঁঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছেন। কেউ চলাচলের চেষ্টা করলে হুমকি ধামকি ও অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করেন। শনিবার স্থানীয় ইনিয়নের চেয়ারম্যান ঘটনা স্থলে আসলে চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় লোকজনকে হামলা করে তাদের সন্ত্রসী বাহিনী। ফলে তাদের ৬ জন মারাত্নক আহত হন।
এব্যাপারে ৮ নং মনসুর নগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, প্রেমনগর আশ্রায়ন প্রকল্প সহ কয়েকটি গ্রামের যাতাযাত ছিল এখানে একটি সরকারী রাস্তা দিয়ে। এই রাস্তা কেটে ফেলে একটি নতুন রাস্তা তৈরী করে উল্লেখিত বাড়ির লোকেরা। কয়েক এলাকার মানুষের চলাচলের সমস্যা হওয়ায় অভিযোগ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার সরেজমিন পরিদর্শন করে রাস্তা নিজ মালিকানা দাবীকারীদেরে কাগজ পত্র অফিসে নিয়ে যেতে বলেন। শনিবার আমি এলাকায় এসে এব্যাপারে এদের সাথে কথা বলার সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে খারাপ আচরন করে। পরে তাদের বাড়ির সামনে আমার রেখে আসা মোটর সাইকেল আনতে গেল আমার সাথের লোকের উপর আক্রমন করে।
রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা মবশ্বির বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে করেছে। উভয় পক্ষের ১০/১২ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।