আজ শনিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে টর্চলাইটের আলো চোখে দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে কুপিয়ে জখম

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২০, ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ণ
মাদারীপুরে টর্চলাইটের আলো চোখে দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে কুপিয়ে জখম

Sharing is caring!

রাকিব হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে পারিবারিক ও চোখে লাইট দেওয়াকে কেন্দ্র শান্ত ফকির(২৫) ও রোহান হাসানকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্হানীয় মাদকাসক্ত কয়েক যুবকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত-রাতে ডিসির ব্রীজ ও চর কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পথচারী ও স্হায়ীরা মিলে তাদেরকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চর কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মুদি দোকান বন্ধ করে ইমাম ফকির নামের এক যুবক বাড়ি দিকে যাইতেছিলেন।এর মধ্যে সোহান ফকির এই যুবককে উদ্দেশ্য করে চোখের উপরে লাইটের আলো দেন। চোখের উপর থেকে লাইট নিচে মাড়তে বলায় ওই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করতে আসে। একপর্যায়ে এ বিষয়টি ইমামের পরিবার সোহানের পরিবারকে জানালে।সোহান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজন লোক নিয়ে ওই ছেলেকে মারধর।পরে উভয়ের পরিবার ও

 স্থানীয়রা মিলে মীমাংসা করে দেয়। তাতে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে সোহান ফকির  ইমামের চাচাতো ভাই শান্ত ফকির থানার পাশে চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে ডিসির ব্রীজ এলাকায় প্রথমে মারধর করলে।সেখান থেকে শান্ত ফকির পালিয়ে গেলে। চর কালিকাপুর বিদ্যালয়ের পাশে ওৎ পেতে থাকে সোহান ফকির ও তার লোকজনেরা। পরে শান্তকে একা পেয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে পথচারী ও স্থানীয়রা মিলে তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, ওই ছেলে শুধু মানুষের সাথে সব সময় খারাপ আচরণ করে। যে ছেলেকে মারধর করছে তাদের কোন অন্যায় নেই। আমরা সোহানের বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জানান, ওই সোহান ফকির মাদকাসক্ত তার পরিবার কয়েকটা মামলার আসামি। তারা মানুষদের সাথে শুধু শুধু মারামারি সবসময় খারাপ আচার-আচরণ করে। আমার ছেলের সাথে যে বিষয়টা ঘটেছে আমরা এর কঠিন বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত সোহান ফকিরকে বারবার ফোন করল কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পাইলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।