আজ মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূস ও পোপ ফ্রান্সিসের নামে ভ্যাটিকানে ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ চালু

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূস ও পোপ ফ্রান্সিসের নামে ভ্যাটিকানে   ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ চালু

Sharing is caring!

টাইমস নিউজ 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের নামে যৌথভাবে ‘পোপ ফ্রান্সিস ইউনূস থ্রি জিরো ক্লাব’ চালু করেছে ভ্যাটিকান সিটি।

মানবতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের সূচনা করার প্রয়াসে ইতালির রাজধানী রোমে এই প্রকল্প চালু করা হয়।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

‘থ্রি জিরো ক্লাব’ রোমের প্রান্তিক যুবকদের জন্য আশার বাতিঘর হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এটি তাদের উদ্ভাবনী ধারণা বিকাশ এবং দৃঢ় ও টেকসই সমাধান সৃষ্টির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

রোমের ভিকার জেনারেল কার্ডিনাল বাল্ডো রেইনার কাছে এক চিঠিতে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, তিনি এই পদক্ষেপে ‘গভীরভাবে সম্মানিত’ বোধ করছেন। তিনি এ উপলক্ষে কার্ডিনাল রেইনাকে ‘আন্তরিক অভিনন্দন’ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘এই অসাধারণ উদ্যোগটি মহামান্য পোপ ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গি এবং রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য আমার আকাঙ্ক্ষাকে অঙ্গীভূত করেছে।’

চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই উদ্যোগটি শুধু শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যে নয় বরং এটি সহানুভূতি, ন্যায়বিচার ও স্থায়িত্বের ভিত্তিতে একটি নতুন সভ্যতার উত্থানের আকাঙ্ক্ষাও উৎসাহিত করে।একটি সভ্যতা যেখানে কাউকেই পিছিয়ে রাখা উচিত নয়, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি তাদের ভাগ্য গড়ার নায়ক হতে পারে, মানব পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হতে পেরে গর্বিত হতে পারে, যেমনটি হলি ফাদার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জোর দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের অবিচল প্রতিশ্রুতি ও সামাজিক ব্যবসার শক্তিতে আমার বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হয়ে থ্রি জিরো ক্লাব তরুণ মনকে এমন প্রকল্পগুলো কল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে উৎসাহিত করে, যা অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের দিকে চালিত করে।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘তাদের (তরুণদের) সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা মনোভাবকে পরিচর্যা করে, আমরা এই তরুণ নেতাদের আরও ন্যায্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজের নির্মাতা হওয়ার জন্য ক্ষমতায়ন করি।’

পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠিতে ড. ইউনূস সবাইকে একসঙ্গে এই রূপান্তরমূলক যাত্রা শুরু করতে আহ্বান জানান, যেন পরবর্তী প্রজন্ম এমন একটি সভ্যতা গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত হয়, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি মর্যাদা পাবে এবং এই গ্রহের পবিত্রতা রক্ষা পাবে।

সারা বিশ্বে অন্তত ৪৬০০টি ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ রয়েছে, যার সবগুলোই একটি নতুন সভ্যতার জন্য ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুপ্রাণিত। এর মধ্যে অনেক ক্লাব বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।