Sharing is caring!
মোস্তফা মহসীন
এমন একটি সময় এসেছিল মাওলানার জীবনে যখন দেখা যায় , ভাসানী হয়ে ওঠেছেন একই সাথে গোটা পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতা। বিশ্বের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা বেশ বিরল। একথা বললে খুব ভুল বলা হবে না যে, বহু পন্ডিতদের দেশে এখানকার মানুষকে কমিউনিজম কি? অবশেষে তা হ্নদয় দিয়ে শেখাতে হয়েছে একজন ধার্মিক মাওলানাকেই! আর এখানেই অন্য মতবাদের চাইতে সাম্যবাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরা পড়ে। মাওলানা ভাসানী তাই এই জনপদের মানুষের কাছে আজও অতি আদরের ‘লাল মাওলানা’।
ক্ষেত্র প্রস্তুত ছিল, মজলুম জনতার সাথে গ্রামাঞ্চলে মজবুত সংগঠন ছিল আর ভাসানীও অসম্পূর্ণ নয়া গনতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি রেখেছিলেন। দুর্ভাগ্য যে, এই মাওলানাকে আমরা এখানকার ধনিক শ্রেণীর স্বার্থ সংরক্ষণকারী লুটেরা রাজনীতির বিপরীতে নেতৃত্বের আসনে সমাসীন করতে পারিনি। এই ব্যর্থতা এই অঞ্চলের আদর্শিক লড়াইয়ের সুফল পাবার স্বপ্ন দেখা সমস্ত মেহনতি জনগণ এবং সামগ্রিকভাবে বামপন্থীদেরই।
চীন বিপ্লবের আদলে সব বামপন্থিদের ঐক্যবদ্ধ করে এখানে যেমন যুক্তফ্রন্ট গঠন করা যায়নি, তেমনি ডঃ সান ইয়াৎ সেনের ভূমিকায় এখানে মাওলানাকে হাজির করা যায় নি। আমি মনে করি বর্তমান সময়েও লাল মাওলানার রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে যায়নি। তাই এ অঞ্চলের রাজনীতিমনস্ক তরুণরা ব্লগে, সোস্যাল মিডিয়াতে নিশ্চয়ই ভাসানীর রাজনীতি, জীবন এবং কর্ম নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবেন।
প্রয়াণ দিবসে সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ-দালাল পুঁজি বিরোধী লড়াইয়ের এই আপোসহীন নেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।