টাইমস নিউজ
সাভার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবৈধ দোকান ও পার্কিং উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকালে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সরকারের নেতৃত্বে সাভার পৌরসভার শতাধিক কর্মী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন। এ সময় সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়কের পূর্বপাশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় মানুষেরা জানান, দীর্ঘ দুই দশক পর হকারদের দখল থেকে মুক্ত হয়েছিল সাভার উপজেলার বাস স্ট্যান্ড উলাইল থেকে রেডিও কলোনি পর্যন্ত সড়ক ও ফুটপাত। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা দীর্ঘদিন টিকে থাকেনি আবার বসতে থাকে হকার রা এতে জনগণের চলাচলের অসুবিধা শুরু হতে থাকে। সামনে ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, তিন বাহিনী প্রধান, অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের উপদেষ্টাগণের আগমন, দেশ-বিদেশে মেহমানদের আগমন, কূটনৈতিকের আগমন ও নিরাপত্তার জন্য এবার সরকারের উচ্চ মহল থেকে নির্দেশে সাভার আরিচা মহাসড়ক যানজট মুক্ত, ফুটপাত মুক্ত, রাস্তার দু'ধারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। সাভার উপজেলা প্রশাসন, সাভার পৌরসভা, সাভার হাইওয়ে থানা, সাভার মডেল থানা,র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকলে মিলে যৌথভাবে কাজ করছেন।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় দখলদারদের বাধার মুখে পড়ে উচ্ছেদের কাজে নিয়োজিত পৌরসভার শ্রমিকরা। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ৩ হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সাভার পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক আবু বকর সরকার জানান, অভিযানের পূর্বে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। পরে উপজেলা গেট থেকে মহাসড়কের পূর্বপাশ দিয়ে থানা বাসষ্ট্যান্ড হয়ে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের উপর নির্মিত দোকানপাট ও অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় মহাসড়কের উপর রাখা বেশকিছু গাছের গুড়ি ও অবৈধ দোকানপাট জব্দ করা হয়। এ অভিযান চলমান থাকবে।
তালবাগ মহল্লার বাসিন্দা নূরুল ইসলাম খোকন বলেন, অবৈধ দোকান ও পার্কিংয়ের কারণে আমরা হাঁটতে পারতাম না। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকে।
এদিকে, উচ্ছেদ হওয়া দোকানি শাহিনুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলাম, এখন আমাদের পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
অন্য এক দোকানি সোহেল হোসেন বলেন, আমাদের ব্যবসা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল, অথচ এখানে বসার জন্য আমাদেরকে চাঁদা দিতে হচ্ছিল নিয়মিত।
তবে অভিযোগ উঠেছে, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পর ফের মহাসড়ক ও ফুটপাতের কিছু কিছু স্থানে দখল করে আগের মতোই দোকানপাট বসিয়েছে দখলকারীরা। এতে আবারও চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় হতাশ প্রকাশ করেছেন পথচারীরা।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2024 RED TIMES. All rights reserved.