Sharing is caring!
টাইমস ডেস্ক
জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক সারাহ বলেন, “সংস্কার” শব্দটাই এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে! কিন্তু বাস্তবতা বলছে, ম্যান্ডেট ছাড়া কোনও সংস্কারই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তিনি আজ তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, একজন উপদেষ্টা সম্প্রতি বললেন, “রাজনীতিবিদরা গত ৫৩ বছরে দেশের জন্য কিছুই করেনি। এবার আমরা সব সংস্কার করব!” শুনে প্রথমেই মনে প্রশ্ন জাগে—সংস্কার করবেন ভালো কথা, কিন্তু সমস্যাগুলোর সঠিক তালিকা কি কারও কাছে আছে? দেশের প্রকৃত সমস্যা কী, সেটা না জানলে সংস্কার করাই বা কীভাবে সম্ভব?
অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল বারবার বলেছে, সমস্যাগুলোর একটি সুস্পষ্ট তালিকা তৈরি করে তা জনসমক্ষে উপস্থাপন করা হোক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনও নির্ভরযোগ্য তালিকা দেখা যায়নি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে?
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যাঁরা সংস্কারের কথা বলছেন, তাঁদের তো কোনো নির্বাচনী ম্যান্ডেটই নেই। যতই আবেগ আর জনদানের স্পৃহা থাকুক, দেশের জন্য আইন তৈরি বা সংস্কার করার ক্ষমতা শুধুমাত্র ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের। ম্যান্ডেট ছাড়া সংস্কারের চেষ্টা এমন, যেন গ্যালারির দর্শক হয়ে ফুটবল মাঠে গোল দেওয়ার চেষ্টা করা। হয়তো বল কখনও জালে ঢুকতেও পারে, কিন্তু সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে গণ্য হবে না।
ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের ইচ্ছেমতো সবকিছু বদলে দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে। তাই ম্যান্ডেট ছাড়া সংস্কারকে ‘ঐতিহাসিক আগাছা’ বললেও ভুল হবে না, কারণ পরবর্তী সরকার এসে সেই সংস্কার বাতিল করে দেবে। ইতিহাস বারবার এটাই দেখিয়েছে—শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।
প্রশ্ন আসে—এই অযাচিত আত্মবিশ্বাস আসে কোথা থেকে? হয়তো “সংস্কার” শব্দটাই এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে! কিন্তু বাস্তবতা বলছে, ম্যান্ডেট ছাড়া কোনও সংস্কারই দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
তাই বলি, মাঠে নামুন, জনগণের ভোটের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে গিয়ে সঠিকভাবে সংস্কার করুন, যা দেশের জন্য সত্যিকার অর্থে টেকসই হবে। নইলে সব কিছু শুধু কথার বুদবুদ হয়ে মিলিয়ে যাবে। ভোটে জিতুন, জনগণের বৈধ সমর্থন নিয়ে কাজ করুন—তবেই আসল গোল দেওয়ার সুযোগ পাবেন!