আজ শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে উপদেষ্টা আসিফ অল্লেন, সব শেষ হয়ে গেছে

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ
যে কারণে উপদেষ্টা  আসিফ  অল্লেন, সব শেষ হয়ে গেছে

Sharing is caring!

টাইমস নিউজ 

সচিবালয়ে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া অফিস দেখে বিমর্ষ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। এ সময় আরেক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন তাকে সান্ত্বনা দেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) অগ্নি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।

নীলফামারি থেকে ঢাকায় ফিরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে যান আসিফ মাহমুদ। তখন তার সঙ্গে ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বুধবার দিনগত রাতে যখন সচিবালয়ে আগুন লাগে তখন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছিলেন নীলফামারিতে। আগুনের খবর শুনে সফর সংক্ষিপ্ত করে ফিরে এসেছেন ঢাকায়।

এ ভবনের ৬ তলায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তাদেরকে সব ফাইল পুড়ে যাওয়ার কথা জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

মাঝখানের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে দেখা গেছে, একেবারে নিচ থেকে পানি এবং ছাইয়ের মিশ্রণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পাঁচতলা পর্যন্ত আগুনে কোনো ক্ষতি হয়নি।

৭ম তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। ৮ম তলায় রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের কিছু অংশ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কিছু অংশ।

এ ভবনের নয় তলায় রয়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ।

এ চারটি তলা পুরো পুড়ে গেছে। প্রতিটি কক্ষের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও দেয়ালের অংশ খসে পড়েছে। সিড়ি ধসে গেছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পোড়া ধ্বংস স্তূপ। তবে ভেতরের এ অবস্থা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।

৭ নম্বর ভবনের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জানালার ভাঙা কাচের গুঁড়া। ভবনের দক্ষিণ পাশে মরে পড়ে আছে কয়েকটি কবুতর।

আগুন নেভার পর পুরো ভবনটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

পুড়ে যাওয়া অংশ থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সচিবালয়ের ভেতরে টহল দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা।