আজ মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ
সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Sharing is caring!

রেডটাইমস ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। ২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৭ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করেন।

দিনটি উপলক্ষে সৈয়দ আশরাফের জন্মস্থান কিশোরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ, প্রয়াতের পরিবার ও সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া সৈয়দ আশরাফের পৈতৃক বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বীরদামপাড়া গ্রামে পারিবারিকভাবে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

মৃত্যুর আগে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসন থেকে পুননির্বাচিত হন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তি বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

১৯৭০ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার বাবাসহ জাতীয় চার নেতা হত্যার পর তিনি লন্ডন চলে যান। সৈয়দ আশরাফ ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।