Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।এই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও জবাব এখনো দেয়নি দিল্লি।তবে চিঠির জবাব পেতে আরও অপেক্ষা করবে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সরকারের পক্ষ থেকে তাগিদপত্র দেওয়ার প্রশ্নে মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার অনেক দুর্বোধ্যতা আছে। এর মধ্যে সবকিছুর ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট উত্তর হয় না। আমরা আমাদের অনুরোধ জানিয়েছে, আমরা ফেরত চেয়েছি। আমরা ভারতের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব। এর মাঝখানে কি হবে বা এর কূটনৈতিক রীতিনীতি কী- এটা আপনাদের ব্যাখ্যার জন্য অবারিত, কূটনীতির ধরাবাঁধা অনেক কিছু থাকে না। এটা এ রকম একটা পরিস্থিতি।
বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক গুম ও জুলাই বিপ্লবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সরকার যে পাসপোর্ট বাতিল করেছে ভারত জানে কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যখন একটা পাসপোর্ট বাতিল করা হয় তখন এটা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে সব দেশগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের এই পাসপোর্টগুলো বাতিল করা হয়েছে। এটা সাধারণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটাতে বিষয়টি যাবে।
সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জানানো হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, সেটার জন্য আমাকে একটু সময় নিতে হবে (তথ্য নেই)।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে। শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গ্রেফতার করে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।সে অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের কাছে ‘নোট ভারভাল’ পাঠায়।