Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মুখ খুলেছেন নির্বাসিতা লেখক তসলিমা নাসরিন । ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি তাঁর মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।
আশির দশকে আলি রিয়াজের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। তাঁর বইও তখন পড়েছি। কখনও মনে হয়নি তিনি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেন না। তাঁকে আমার মনে হতো বেশ বুদ্ধিদীপ্ত যুক্তিবাদী তরুণ। তাঁর সঙ্গে শেষ দেখা ২০০৮ বা ২০০৯ সালে। আমি তখন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ফেলোশিপ করছি। ইউনিভার্সিটিতে আমার যে অফিস ছিল, সেই অফিসে আলি রিয়াজ এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমরা নানা বিষয়ে কথা বলেছি। অফিস থেকে বাইরে বেরিয়ে আমরা কিছুক্ষণ হাঁটতে হাঁটতেও কথা বলেছি। মনে আছে তিনি তখন বেশ সিগারেট খাচ্ছিলেন।
আলি রিয়াজের বড় ভাই আলি আনোয়ার, রাজশাহী ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন অধ্যাপক, তখন নিউ ইয়র্কে তাঁর কন্যার বাড়িতে থাকতেন। আমাকে বড় স্নেহ করতেন তিনি। আমার নির্বাচিত কলাম বইটির প্রশংসা করে পত্রিকায় কলাম লিখেছিলেন। আলি আনোয়ার ধর্মনিরপেক্ষতায় আর অসাম্প্রদায়িকতায় খুব বিশ্বাস করতেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর কন্যার বাড়িতে আমার একাধিকবার দেখা হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার পরও তিনি তাঁর বিশ্বাসে অটল ছিলেন।
আলি রিয়াজের সঙ্গে আমার খুব সম্ভবত কোনওদিনই আর দেখা হবে না। দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম, ‘কবে থেকে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করা ছেড়েছেন? সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যে-সব যুক্তি দিয়েছেন, প্রতিটি যুক্তিই কিন্তু নড়বড়ে।’ আলি আনোয়ার বেঁচে থাকলে হয়তো জিজ্ঞেস করতেন, ‘কী রে রিয়াজ, তোর হয়েছে কী? কবে থেকে নষ্ট হলি?’