টাইমস নিউজ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটিতে ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের কমিটিতে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা শাহনূর। কিন্তু তিনি পর পর তিনটি মিটিংয়ের অধিক অনুপস্থিত থাকায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতির কার্যকরী পরিষদ তাকে কারণ দর্শানের নোটিশ দেন।
তবে সেই চিঠির কোনো উত্তর না মেলায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার পদটি শূন্য হয়ে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য শাহনূরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি।
গতকাল রবিবার (১৯ জানুয়ারি) শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা শেষে সভাপতি মিশা সওদাগর মুক্তিকে সদস্য হিসেবে শপথ পড়ান। এ তথ্য জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও মুক্তি নিজেই। এসময় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস ধরে সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার।
আমরা নিয়ম অনুযায়ী শাহনূরকে তার অনুপস্থিতির জন্য কারণ দর্শানের চিঠি দেই। কিন্তু একটি চিঠিরও কোন উত্তর পাইনি। তার অনুপস্থিতিতে পদটি শূন্য থাকে। সেখানে চিত্রনায়িকা মুক্তি কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।
সভায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক সর্বসম্মতিক্রমে শুন্য ওই পদে মুক্তিকে নেওয়া হয়েছে।’
5
এদিকে মুক্তিকে কমিটিতে পেয়ে খুশি তার সহকর্মীরা তারা ইতিমধ্যে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট সহ বিভিন্নভাবে মুক্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শিল্পী সমিতির সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মুক্তি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই সমিতির জন্য নিবেদিত ছিলাম। সমিতির বাইরে থেকেও বিগত দিনে শিল্পীদের জন্য আমি কাজ করেছি। সমিতি সবসময় তাদের পাশে আমাকে পেয়েছেন।
আমিও চেষ্টা করেছি শিল্পীদের জন্য কিছু করতে। তবে কমিটিতে থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়। সেই ভাবনা থেকে কমিটিতে যুক্ত হয়েছি। এখন যেহেতু সমিতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থেকে কাজ করার সুযোগ হলো, এটি আমার জন্য আরও ভালো হলো। শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করাটা আমার জন্যে আরও সহজ হবে। এরই মধ্যে শিল্পীদের কথা ভেবে বেশকিছু পরিকল্পনা করেছি। শিগগিরই সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবো।’
বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তি খ্যাতিমান অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহিতুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি।
১৯৯২ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী থাকাকালীন মুক্তির চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মানদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে কপিলার (চম্পার) মেয়ে গোপী চরিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে মুক্তির বড় পর্দায় আগমন। ১৯৯৩ সালে ছবিটি মুক্তির আগেই ১৯৯২ সালে তার দ্বিতীয় ছবি শেখ নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘চাঁদের আলো’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এটি মুক্তি পাওয়ার পর বেশ আলোচনায় চলে আসেন তিনি।
মাত্র ১২ বছর বয়সে চিত্রনায়ক ওমর সানীর নায়িকা হিসেবে ‘চাঁদের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেন তিনি। ওই সিনেমায় ‘তুমি আমার চাঁদ, আমি চাঁদেরই আলো’ এবং ‘প্রেমের নামে মিথ্যে বলোনা’ গানগুলো সেই সময় থেকে এখনো মানুষের মুখে মুখে।
এরপর ফজলে হক পরিচালিত ‘লড়াই’, প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ুন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাছন রাজা’, রায়হান মুজিবের ‘জগৎ সংসার’, ‘দারোয়ানের ছেলে’, ‘তুমি আমার স্বামী’, এফ আই মানিকের ‘পিতা মাতার আমানত’ সহ বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি বেশ প্রশংসিত হন।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.