Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
গতকাল ফেসবুকে সাহসী স্ট্যাটাস দেবার কয়েক ঘণ্টা পরেই বিপাকে পরে গেছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ।
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরমধ্য দিয়ে এ মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। এছাড়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ পরোয়ানা জারি করেন।
আসামির আইনজীবী জানান, অসুস্থ থাকায় পরীমনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে, সেটি আমলে নেননি আদালত।
এর আগে, গত বছরের ১৮ মার্চ নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই। একই বছরের, ১৮ এপ্রিল আদালত পিবিআই’র দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরীমনিকে হাজির হতে সমন জারি করেন।
পর্ গত ২৬ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান পরীমনি। এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই, আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
এ বিষয়ে পরীমনি জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে তিনি খুবই অসুস্থ। বিছানা থেকে ওঠার শক্তিও পাচ্ছেন না। তাই শুনানির নির্ধারিত তারিখে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে মাদককাণ্ডে বিতর্কিত এই নায়িকা গণমাধ্যমকে বলেন, ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে খবরটা দেখলাম। আমি আজ আদালতে যেতে পারিনি। এর আগেও একবার যেতে পারিনি, সেবার আমার মৃত নানুর একটা বিষয় ছিল। সেই হিসেবে পরপর দুবার আমি আদালতে যেতে পারিনি। আজকে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারিনি। আমার আইনজীবীকে তা জানিয়েছি। আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, আজকে আমার অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল। সচেতন নাগরিক হিসেবেও মনে করছি যাওয়া উচিত ছিল।
নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করে পরীমনি বলেন, শরীর অনেক বেশি খারাপ ছিল। শরীর অসুস্থ থাকলে তো কিছুই করার নেই। আমি বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তিও পাচ্ছিলাম না। ঠিক থাকলে আমি তো আদালতে যেতাম। আদালতে যাওয়া নিয়ে আমার কখনই কোনো সমস্যা ছিল না। মাতৃত্বকালীন সময়টায়ও কিন্তু আমি আদালতে যাওয়া বাদ দিইনি।