Sharing is caring!

টাইমস নিউজ
সারাদেশে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের হরতাল কর্মসূচি । তবে জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে কর্মীরা হয়েছেন পুলিশের দমন পীড়নের শিকার । রাস্তায় গাড়ি কম চলছে । সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে ।
গত ২৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই দলটির নানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার তাদের সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি রয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের ডাকা মঙ্গলবারের হরতাল মোকাবিলায় ঢাকা মহানগরীতে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মাঠে রয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কোনো কিছুতে নগরবাসী আতঙ্কিত হবেন না। খারাপ কোনো কিছু ঘটবে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নত দাবি করে কমিশনার বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু দাবি নিয়ে কিছু গোষ্ঠী সড়ক বন্ধ করছে। তবে ছিনতাই বা অন্য অপরাধ কমে গেছে। এখন আমাদের বড় সমস্যা নানা গোষ্ঠী বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে। তারা রাস্তায় নেমে যানচলাচল বন্ধ করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলছে।
সোমবার তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনারের সংস্কার করা কার্যালয়ের উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার জানান, পুরো নগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা নানা প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় প্রস্তুতি আছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মঙ্গলবারের হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিল করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। মিছিলের পরপরই আওয়ামী লীগের তিনজনের বাড়ি ও দোকানে হামলা হয়।
সোমবার রাত ৯টার দিকে ধুনট উপজেলা সদরের বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে মিছিল শেষ হতে না হতেই আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা পিছু হটে তিন জায়গায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিল করে আসার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের তিন নেতার বাড়িঘর ও দোকানে হামলা চালায়। পরে আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রতিরোধে তারা পিছু হটে।
তবে হামলা-ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করে ধুনট পৌর বিএনপির সভাপতি আলীমুদ্দীন হারুন বলেন, “আওয়ামী লীগ মশাল মিছিল করার সময় জনতা তাদের প্রতিহত করে। কারও বাড়িতে কোনো হামলা হয়নি।”
ধুনট থানার ওসি মো. সাইদুল আলম বলেন, “হরতালের সমর্থনে আওয়ামী লীগের লোকজন মশাল মিছিল করার চেষ্টা করেছিল। পরে পুলিশের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার কোনো খবর আমার কাছে নেই। এখন পরিস্থিতি শান্ত।”
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ আত্মগোপনে রয়েছেন। দলটির সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অবস্থান করছেন দিল্লিতে। দলটির পক্ষ থেকে এরপর প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি।