Sharing is caring!

অনলাইন ডেস্ক:
জেনেভা ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা শত-শত বিহারি শিশুর জন্য উর্দু শেখার একটি মানসম্পন্ন একাডেমি বা স্কুল গড়ে তোলার দাবি উঠেছে। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ ছিল মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। তাদের আদর্শকে ধরে রেখে বাংলাদেশের অন্যান্য ভাষা ও উপভাষার সংরক্ষণ ও প্রসারের প্রয়োজনীয়তা আজ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
উর্দুর একটি স্বতন্ত্র পুরনো ঢাকা উপভাষাও এই একাডেমিতে শেখানো যেতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুরনো ঢাকার উর্দু পুনরুজ্জীবনের কিছু উদ্যোগ দেখা গেছে। তবে যদি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্তর থেকেই উর্দু শেখানোর জন্য যথাযথ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকে, তাহলে বাংলাদেশে এই ভাষা ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে চলে যাবে।
১৯শ শতকে বাংলা অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলোতে উর্দু শিক্ষা দেওয়া হতো। উপমহাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা হযরত করামত আলী জৌনপুরী বাংলার মুসলিম সমাজে ইসলাম প্রচারের সময় প্রায়ই উর্দু ভাষায় বক্তব্য দিতেন। তৎকালীন জমিদার শ্রেণির অভিজাত মুসলমানরা ঘরে উর্দুতে কথা বলতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে সেনানিবাসে অবস্থানকারী বাঙালি সৈন্যরা ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের সৈন্যদের সঙ্গে উর্দুতেই যোগাযোগ করতেন।
১৯৬০-এর দশকে ঠান্ডা যুদ্ধকালীন সমৃদ্ধির সময়ে পূর্ব বাংলায় সিনেমা সংস্কৃতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তখন অনেক শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা উর্দুতে সিনেমা তৈরি করতেন। কিংবদন্তি কবি সৈয়দ শামসুল হক, খ্যাতিমান পরিচালক ও সাহিত্যিক জহির রায়হানসহ অনেক বাঙালি নির্মাতা উর্দু ভাষায় কাজ করেছেন। ১৯৬০-এর দশকের ঢাকার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ভাষাগতভাবে আরও বৈচিত্র্যময় ছিল। সেই সময় উর্দু মাধ্যমের স্কুলও ছিল, যেখানে বিহারি ও উত্তর ভারতীয় অভিবাসী পরিবারগুলোর শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ করত।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। চলুন, এ দিনটিকে সত্যিকারের অর্থবহ করে তুলি, সব ভাষার সংরক্ষণ ও বিকাশের উদ্যোগ নিয়ে! মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/1De3edwdr7/