Sharing is caring!

টাইমস নিউজ
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর সভা, সমাবেশ ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইনানুযায়ী একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২শে অক্টোবর সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত যে কোনো সংগঠনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ ও অন্যান্য উপায়ে প্রচারণাসহ সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তাই হিযবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠন সভা, সমাবেশ ও যে কোনো উপায়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
হিজবুত তাহরীর বাংলাদেশ, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, জার্মানি, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, কাজাখস্তান এবং সমস্ত মধ্য এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যে (লেবানন, ইয়েমেন, দুবাই ব্যতীত) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়া সরকারি বিধি ও জাতীয় মতাদর্শের সঙ্গে অমিলের কারণে হিযবুত তাহরীরের আইনগত স্বীকৃতি বাতিল করে।
মুসলমান উম্মাহর মধ্যে ইসলামি খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে এ দল প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামি খিলাফত হচ্ছে সে ব্যবস্থা যা পৃথিবীতে ইসলামি শরীয়াহ-র বাস্তবায়ন করে থাকে এবং ‘দাওয়াত ও যুদ্ধের’ মাধ্যমে ইসলাম-কে পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতার নিকট উপস্থাপন করে থাকে। হিযবুত তাহরীর মনে করে মুসলমান বিশ্বের সকল সমস্যার মূলে রয়েছে উম্মাহর মধ্যে খিলাফত ব্যবস্থার অনুপস্থিতি এবং খিলাফত ব্যবস্থাই হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।
ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের শরীয়াহ আদালতের বিচারপতি শায়েখ তাকিউদ্দীন আন-নাবহানী কর্তৃক ১৯৫৩ সালে এ দলের প্রতিষ্ঠা হয়। শায়েখ তাকিউদ্দীন আন-নাবহানী মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষিত একজন স্বয়ংসম্পূর্ন ইসলামি গবেষক (মুজতাহিদ মুতলাক) ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর মধ্যপ্রাচ্য হতে এ দল ধীরে ধীরে আফ্রিকা, ইউরোপ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে।