Sharing is caring!

টাইমস নিউজ
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এনআইডি সেবা ইসির অধীনে না রাখলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের দপ্তরের সামনে জড়ো হন তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি সেবা ইসি থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বন্ধ না হলে তারা প্রথমে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যাবেন। এরপর পূর্ণদিবস। তাতেও কাজ না হলে সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সিইসি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, সবার সম্মতিতেই কাজটা করছি।…আই এম নট দ্য আলটিমেট ডিসিশন মেকার। আমি ইসিকে রিপ্রেজেন্ট করি, ইসির পক্ষে কথা বলতে পারি। সরকারের কাছে অবস্থান তৈরি করতে পারি। সরকার তো অনেক উপরের ব্যাপার। আমরা সাংবিধানিক সংস্থা।আইন যদি সরকার করে ফেলে আমাদের আইন মানতে হয়। কিন্তু আইন বানানোর প্রক্রিয়ায় আমাদের মতামত জরুরিভাবে তুলে ধরব।
এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে আইন করা হয়েছিল, ৫ আগস্টে সেই সরকারের পতনের পর তা বাতিল চেয়ে চিঠি দেয় ইসি সচিবালয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন জানান, এনআইডি সেবা নিজেদের কাছে রাখতে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।অন্তর্বর্তী সরকার যদি আইনটি বাতিল করে তাহলে এনআইডি সেবা আগের মতোই ইসির হাতে থাকবে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংস্থা’ নামে একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি সিইসি বলেন, ‘ভোটার এনআইডি কার্ড, ভোটার রেজিস্ট্রেশন যেটা উনারা বলেছেন পরবর্তী পর্যায়ে একটা আবার স্বাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তরে হ্যান্ডওভার করার জন্য সাজেস্ট করছেন। …আরেকটা কর্তৃক্ষকে দিলে আমার কি তার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে? ইটস ইমপসিবল।’