Sharing is caring!

কামরুজ্জামান হিমু
এসিল্যান্ডদের আইডিতে ঝুলে আছে ৫ লাখ বেশি নামজারীর আবেদন।
আপডেট ভার্সন টি নতুনভাবে কাজ করার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াতে ব্যাঘাত হয়েছে। ৮৮ দিন নামজারী ,ভূমি উন্নয়ন কর, ভূমি রেজিস্ট্রেশন পুরো বাংলাদেশ জুড়ে বন্ধ থাকার কারণে জনদুর্ভোগ যেমন বেড়েছে তেমনি সরকার হারিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব।
এখনো জনগণ সেবা পাচ্ছে না। ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে নামজারী আবেদন হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ভুল আবেদন হচ্ছে। ভার্সনটি অটোমেশনের জন্য কার্যক্রম চলমান এসিল্যান্ড অফিস থেকে আপডেট কোন তথ্য সেবা প্রত্যাশীরা না পাওয়ায় একদিকে সরকারে যেমন ভাবমূর্তি ক্ষুন্নহচ্ছে, তেমনি জনদুর্ভোগ বেড়েছে বহু অংশে।
অনলাইনে তথ্য না থাকায় রাজধানী সহ ঢাকার বেশিরভাগ এসিল্যান্ড অফিসে নতুন করে হার্ডকপি দেওয়ার নিয়ম চালু করেন এসিলেন্ডরা। এতে অনেকে হার্ডকপি দেওয়ার পরেও সেবা পাচ্ছে না। আগে বলা হতো অনলাইনে কোন কিছু তথ্য নাই, যখন হার্ডকপি দেওয়া হয়েছে তারপরে অনেকটা সেবা দিতে নারাজ এসিল্যান্ড অফিসে নিয়োজিত ব্যক্তিরা। এর মধ্যে হাতে গুনা দুই / তিন জন এসিল্যান্ড সেবা দিচ্ছেন নিষ্ঠা ও কর্তব্যর সাথে। যখন অনলাইনে সেবা একেবারেই বন্ধ হার্ড কপি নিয়ে কাজ করছেন সাভার, লালবাগ এসিল্যান্ড অফিসে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। সাভার রাজস্ব সার্কেলের চিত্র ঢাকার অন্যান্য রাজস্ব সার্কেলের চেয়ে ভিন্ন। এখানে বেশীরভাগ সেবা পাচ্ছে সেবা প্রত্যাশীরা।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায় ৫,০৬০৮৭ ( ৫ লক্ষ ৬ হাজার ৮৭ টি) নামজারী আবেদন পেন্ডিং রয়েছে এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩৪৪৮২ , ( এক লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৮২ টি,) চট্টগ্রামে ৭৮,৮০৮, খুলনা ৮২,৯১৮, বরিশাল ২৯,৪১৮, ময়মনসিংহ ৩৭,৩৮৪, সিলেট ২৪,২০০,
রাজশাহী ৬৬,৩০০
,রংপুর ৫২,৫৮০ মোট ৫,০৬,০৮৭টি আবেদন নামজারীর জন্য পেন্ডিং রয়েছে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি আবেদন পেন্ডিং পরে আছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানী গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এসিল্যান্ডের চিত্র ভয়াবহ। মৌখিক তথ্য নিতে গিয়ে অনেক এসিল্যান্ড তথ্য দিতে নারাজ। এসিল্যান্ড অফিসে দরজায় বারবার সেবা প্রত্যাশীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদেরকে এসিল্যান্ড রা বলছেন অনলাইনে কোন কিছু দেখা যায় না ।
আবার তহসিল অফিসে ভূমি সহকারী / উপসহকারী কর্মকর্তারা বলেন সাদা দেখাচ্ছে আপনার কোন তথ্য নাই আবার নতুন আবেদন করেন অনেকে হার্ডকপি নিয়ে আসেন তারপরে ভোগান্তির শেষ নেই। বাড়ছে ব্যাপক জটিলতা গত কয়েক মাস ধরে রাজধানী গুরুত্বপূর্ণ এসিল্যান্ড অফিসগুলো ডেমরা, মোহাম্মদপুর মতিঝিল একই চিত্র ভোগান্তির শেষ নেই। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন সামনে ঈদ, চিকিৎসা, মেয়ের বিয়ে , ইত্যাদি সমস্যার জন্য নামজারী না হলে বেচাকেনা বা হস্তান্তর হবে না।
ভূমি মন্ত্রণালয়ে ডিজিটালাইজেশনে, নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও পারফরমেন্স ( ডি কে এমপি) অনুবিভাগ বাংলাদেশ সচিবালয় উপসচিব সেলিম আহমেদ স্বাক্ষরিত ২.৩.২০২৫ একটি চিঠিতে বলা হয়েছে সারা বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে এসিল্যান্ডের পেন্ডিং নামজারী আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি ব্যবস্থা গ্রহণ।
ভূমি মন্ত্রণালয় একটি জনবান্ধব মন্ত্রণালয় অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতে জনবান্ধব সেবা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপযোগী ও গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছে।
ভুক্তভোগী অনেকে আবেদনের হার্ট কপি জমা দেওয়ার পরেও সেবা পাচ্ছেন না।
তেমনি আমাদের চোখে পড়ে ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের সেবা নিতে আসা নন্দীপাড়া বাসিন্দা আব্দুল ওহাব ব্যাঙ্ক মর্গেজ করবেন ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছেন না। অপর আরেকজন আকলিমা বেগম জানান আমি আমার ফ্ল্যাটটি বিক্রি করতে পারছিনা নামজারী না থাকার কারণে আমার বাবা থেকে ফ্ল্যাটটি আমি পেয়েছি বাবা আমাকে দলিল করে দিয়েছে কিন্তু দু মাস হল নামজারি আমি এখনো পাইনি।
এদিকে বিষয়টি সারা বাংলাদেশের সকল সহকারী কমিশনার ভূমি দেরকে চিঠি পাঠিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়। ক্রাশপ্রোগামের মাধ্যমে আগামী ১৩ ই মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
নাগরিকদের নির্বিঘ্নে আরো সহজ করার জন্য ভূমি সেবা প্রদানের জন্য অনলাইন দ্বিতীয় উন্নত ভার্সন গত পয়লা ডিসেম্বর থেকে চালু করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক এসিল্যান্ড এর দায়িত্ব যেন গা ছাড়ার মত তেমনি উঠে এসেছে ঢাকার অদূরে ধামরাই এসিল্যান্ড অফিসেও। এখানে নামজারী সেবা নিতে আসা অনেকে ভোগান্তি শিকার হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন, পরবর্তীতে হার্ডকপি আবার পরবর্তীতে মূল কপি নিয়ে ভূমি উপসহকারী, সার্ভেয়ার কানুনগো দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভালুম এলাকার হযরত আলী।
একে অপরে ঠেলাঠেলি করছেন কেউ দায়ী করছেন ভূমি মন্ত্রণালয় কে আবার কেউ দায়ী করছেন ভুমি অটোমেশনের কাজের জন্য। এসিল্যান্ড অফিসে অনেকে বলে ফেলেন আমাদের করার কিছু নেই আপনারা ভূমি হটলাইনে ফোন দেন। আমাদের কাছে অনলাইনে কোন তথ্য নাই নতুন করে আবেদন জমা দেন এইভাবে হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের।
সিরিজ ১