টাইমস নিউজ
দাবি আদায়ে চিকিৎসক ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা এবার সারাদেশে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তবিভাগের পাশাপাশি বুধবার বৈকালি চেম্বারও বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে চালু থাকবে আইসিইউ, সিসিইউসহ জরুরি চিকিৎসা।
“সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের” ব্যানারে এক দিনের কর্মসূচি পালনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাদিম হোসাইন।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, “বুধবার সারাদেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করবেন। সরকারি, বেসরকারি সব হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর সেবা এবং বৈকালিক চেম্বার বন্ধ থাকবে। মানবিক বিবেচনায় আইসিইউ, সিসিইউ, ক্যাজুয়ালটি, লেবার রুমের কার্যক্রম চলমান থাকবে।”
লিখিত বক্তব্য তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল (বুধবার) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হলো। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমবেত হবেন। সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করবেন তারা।”
এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ “ডাক্তার” লিখতে পারবে না- এমন দাবি তুলে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পেশাজীবীদের ১৭ সংগঠন নিয়ে এ “সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের” ব্যানারে এ ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে। এর অধীনে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন আর ইন্টার্নরা প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছেন।
বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন মেডিকেল অ্যাসিন্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল বা ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের পাল্টায় কর্মসূচি পালন করছেন চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থীরাও।
চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি
১. এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। আদালতে চলমান এ সংক্রান্ত আইন ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী সব রিট আবেদন আগামী ১২ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং বাংলাদেশে ‘ডিপ্লোমা চিকিৎসক’ নামে বিভ্রান্তিকর কোনো পদবির প্রচলন করা যাবে না, যার অস্তিত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা বিশ্বের কোথাও নেই।
২. ‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস /বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না’ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৩. আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনর্নির্ধারণ এবং মানহীন সকল ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
৪. জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শূন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।
৫. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।
অপরদিকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা সরকারি/বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরি, অবিলম্বে দশম গ্রেডে শুন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছে।
পাশাপাশি তারা চার বছরের অ্যাকাডেমিক কোর্স বহাল রেখে কারিকুলাম সংশোধন ও ভাতাসহ এক বছরের ইন্টার্নশিপ, প্রস্তাবিত “অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড” বাতিল করে “মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ” নামে বোর্ড গঠন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমঅ্যান্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.