Sharing is caring!
টাইমস নিউজ
পঞ্চগড়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য রাখাকালে তাদের সমাবেশে হামলার ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ । তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেন, এ ধরণের বিষয়খুবই উদ্বেগজনক।
কেননা এই ঘটনা বিভিন্ন সমাবেশে আওয়ামী হামলা ও অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়, একই নামে কিংবা ভিন্ন নামে তাদের প্রত্যাবর্তনের ভয় তৈরি করে।
তিনি বলেন, সিপিবি সম্পর্কে ভিন্নমত, সমালোচনা অবশ্যই থাকতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে, ২০১৪ থেকে পরপর তিনবার জালিয়াতি নির্বাচনসহ অপশাসন, লুন্ঠন ও সম্পদ পাচারের বিরোধিতার সাথে সাথে এই দল ‘আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং তদারকি সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের’ দাবিতে বরাবর সক্রিয় ছিল। তাছাড়া এই দীর্ঘ সময়ে হাসিনা সরকারের প্রাণবিনাশী জাতীয় স্বার্থবিরোধী লুন্ঠনমূলক চুক্তি ও প্রকল্পের বিরুদ্ধে ‘তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’র ব্যানারে লাগাতার আন্দোলনে সিপিবি ছিল অন্যতম শরীক।
তাদের ওপর সর্বশেষ এই হামলাসহ বিভিন্ন স্থানে মনের মাধুরী মিশিয়ে একেকজনের গায়ে ট্যাগ লাগিয়ে আক্রমণ হামলা জোরজবরদস্তির ঘটনাবলী শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করছে। আমি এসব অপতৎপরতার নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ও ছাত্রনেতৃবৃন্দকে এই হামলাকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে এবং এসবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলি।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) এক পথসভায় বাধা দেওয়া হয়েছে। বাধা দানকারী ব্যক্তিরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়েছেন বলে সিপিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের তেঁতুলতলায় ‘শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা’ শীর্ষক পথসভায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হযরত আলী নামে এক যুবক নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন যুবকসহ সিপিবির ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে সভায় বক্তব্যরত কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সের মাইক্রোফোন কেড়ে নিতে শুরু করেন। তারা সিপিবি নেতাদের ‘ফ্যাসিস্টদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে পথসভায় বাধা দেন।