Sharing is caring!
নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে ‘লেখক আড্ডা’ আয়োজিত প্রথিতযশা কবি শামস আল মমীনকে নিয়ে “বাংলা কবিতার নতুন দিগন্ত: শামস আল মমীনের ব্রত” শীর্ষক গ্রন্থের আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ গ্রন্থটি লেখক ও সাহিত্য বিশারদ আবেদীন কাদের কর্তৃক সম্পাদিত।৮ নভেম্বর সেই অনুষ্ঠানে একাধারে কবি, প্রকাশক ও সাংবাদিক এবিএম সালেহ উদ্দীন সঞ্চালকের গুরু দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রারম্ভিক বক্তব্য প্রদান করেন। কবি শামস আল মমীনের পরিচিতি তুলে ধরেন কবি বেনজির শিকদার। কবিতা আবৃত্তি করেন কবি সাবিনা নিরু, নাট্যজন মুজিব বিন হক ও কবি শুক্লা রায়। তরুণ কবিদের আলোচনা পর্বে অংশ নেন কবি পলি শাহিনা, কবি মনিজা রহমান, কবি রিম্মি রুম্মান ও কবি সুবিদ বড়ুয়া।
কবি শামস আল মমীনের কাব্য প্রতিভা ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে বিশদ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন একাধারে বিশিষ্ট কবি, লেখক ও সাহিত্য সমালোচক আহমাদ মাযহার এবং একাধারে কবি, লেখক, সাহিত্য সমালোচক ও অনুবাদক আদনান সৈয়দ। প্রয়াত কবি শহীদ কাদরীর সহধর্মিণী নীরা কাদরী তাঁর আলোচনায় শহীদ কাদরীর জীবদ্দশায় কবি শামস আল মমীনের সাথে সখ্যতা ও জীবনঘনিষ্ঠতার স্মৃতিচারণ করেন।
গ্রন্থটির সম্পাদক আবেদীন কাদের তাঁর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় কবি হিসেবে শামস আল মমীনের যথাযথ মূল্যায়ন করেন। একাধারে কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যক্ষ আজিজুল হক কবি শামস আল মমীনের কবিতায় বাঙালি সংস্কৃতি, প্রবাস জীবনের চ্যালেঞ্জ, এবং পরিচয়ের সন্ধানকে গভীরভাবে অনুধাবন করেন। তিনি বলেন, শিকড়ের প্রতি নিবেদিত মমীন তাঁর রচনায় প্রবাসী জীবনের অভিজ্ঞতাগুলি তুলে ধরেন, যেখানে সংস্কৃতি ও স্মৃতির সংমিশ্রণে একান্ত অনুভূতির প্রতিফলন ঘটে। তার সাহিত্যিক অভিব্যক্তি প্রবাসী বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
শামস আল মমীন বাংলা সাহিত্য ছাড়াও আমেরিকার মূলধারার সাহিত্য আসরেও সক্রিয়। তাঁর এই সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ তাঁকে বাঙালি-আমেরিকান সাহিত্যিক সমাজে একজন প্রভাবশালী কণ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আশির দশকে আমেরিকায় পড়তে আসা তরুণ শামস আল মমীন ও তাঁর বন্ধুদের প্রচেষ্টায় নিউ ইয়র্কে প্রথম বাংলা ভাষার সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘দিগন্ত’ প্রকাশিত হয়। ফলে কবি ও কাব্য প্রতিভার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিক হিসেবেও বহুমাত্রিক প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে কবি শামস আল মমীন উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং কয়েকটি কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানস্থলে তাঁর কাব্যগ্রন্থের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অনেকেই বই সংগ্রহ ও অটোগ্রাফ নেন। সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে এবং শেষে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন উল্লেখযোগ্য অতিথিবৃন্দ।