Sharing is caring!

কামরুজ্জামান হিমু
সাভারে সাবেক কমিশনার ও আগামী সাভার পৌরসভা মেয়র পদপ্রার্থী বিএনপি নেতাকে খুন করতে এসে ধারালো অস্ত্রসহ জনতার হাতে আটক হয়েছে দুই পেশাদার খুনী। পরে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জানাগেছে, সাভারের ছায়াবীথি এলাকার নিজ বাসভবনে ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়ন খোরশেদ আলম সারাদিন নেতা-কর্মীদের ও এলাকাবাসীর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। হাজার হাজার লোক ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে সারাদিন তার বাসভবনে আসে।
ঈদের দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েকজন যুবককে সন্দেহজনক ওই ভিড়ের মধ্যে ঘুরাফেরা করতে দেখে উপস্থিত জনগণ তাদের দুজনকে আটক করে । বাকি ৫/৬ জন সন্ত্রাসী এ সময় পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো সাভারের ভাড়াটে খুনী হিসেবে পরিচিত বনপুকুর এলাকার পারভেজ ও বাশার শেখ। তারা এর আগে আরো তিনটি খুন করেছে বলেও স্বীকার করে।
এ সময় সাভার থানা পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের কাছে তারা স্বীকারোক্তি দেয় যে ভাড়ায় তারা বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমকে খুন করতে এসেছিল বলে জানায় ।
তাদের জবানবন্দি গ্রহণের পর তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় দুটি সুইচগিয়ার / চাকু উদ্ধার করা হয়। তাদের আটক করতে গিয়ে জুয়েল ও নাফির ধস্তাধস্তি হয়ে কিছুটা জখম হয়।
অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিতভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনগণ ও এলাকাবাসী।
লায়ন খোরশেদ আলম বলেন, বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেত ও নব্য আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর রহমান অভি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে হত্যা করার জন্য এই ভাড়াটে খুনী পাঠিয়েছে বলে আটককৃতরা পুলিশের কাছে ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ ব্যাপারে খোরশেদ আলম প্রশাসন ও সাভারবাসীর কাছে বিচার চেয়েছেন এবং তিনি আরো দাবি করেন তার নিজের ও তার পরিবারের নিরাপত্তা চান । তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এবং সত্য উদঘাটন করে দোষীদের উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন।