Sharing is caring!

আকরাম হোসেন হিরন,কাপাসিয়া গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় শতাধিক কৃষক কীটনাশক ব্যবহার না করে জৈব সারে ১০০ একর জমিতে বুরো ধানের আাবাদ করেছে।
এসব ফসলী জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় কৃষকেরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলায় তরগাঁও , রায়েদ, সুর্যনারায়নপুর ও পাবুর এলাকায় ১২৫ জন কৃষকের প্রায় ১০০ একর জমিতে কীটনাশক ছাড়া জৈব সারে এ বছর বুরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তরগাঁও গ্রামের কৃষক সাহিদা বেগম, লতাপাতা গ্রামের কৃষক নিপা আক্তার বলেন, রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে পোকায় বেশি আক্রমন করে। আমরা রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার ব্যবহার করে এবার সর্বোচ্চ ফলন পেয়েছি। এভাবে পরিশ্রম কম হয় এবং বেশ লাভজনক। অন্য বছর বিঘা প্রতি ১৮ মন ধান উতপাদন হয়েছে। এবার বিঘা প্রতি ধান পেয়েছি ২২ থেকে ২৫ মন। এবার জৈব সার ব্যবহারে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ কম হইছে, ধান বেশি পাইছি।
উপজেলার তরগাঁও গ্রামের সেচ পাম্প ম্যনেজার রাকিবুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি নিজেই গত দুই বছর জৈব সার ব্যবহার করেছি।আমার ধানের খুব ভালো ফলন হইছে। আমি গত বছর বিঘা প্রতি জমিতে ২৫ থেকে ৩০ মন ধান উঠাতে পারছি। এবারও তাই হবে আশা করছি। আমার সেচ প্রকল্পের অধীনে এই গ্রামে আরো ৫০ জন কৃষক জৈব সার ব্যবহার করে একই ভাবে বুরো ধান চাষ করেছে।
শ্যামল বাংলা কৃষি ফার্ম লিমিটেড ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এডিশনাল সেক্রেটারী (অব) মো. মাহফুজুল কাদের বলেন, আমি গত ২০১৫ সালে কাপাসিয়া উপজেলা শহর ও বাজারের আশপাশে যেসব বর্জ্য দুর্গন্ধ ছড়ায় ও পরিবেশ দূষণ করে সেগুলো দিয়ে আমি একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র চালু করেছি। প্রথমে ১০ জন কৃষককে জৈব সারের ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছিলাম। বর্তমানে ১২৫ কৃষক কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফসল উৎপাদন করেছে।
তিনি বলেন, আমি শুধু বর্জ্য নয়, একই সাথে গরু জবাইয়ের পর গরুর উচ্ছিষ্ট হার , চিটাগুড়সহ নানা উপকরণ মিশিয়ে জৈব সার তৈরী করছি। এটাতে ফসলে শুধু ১০০ কেজির সাথে শুধু মাত্র ২০ কেজি ইউরিয়া সার ব্যবহার করলেই হয়।
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বশাক বলেন, কাপাসিয়া উপজেলা চার শত বিঘার বেশি জমিতে জৈব সার ব্যবহার করছে কৃষকেরা। জৈব সার ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের চাহিদা কমে। এমনকি একটানা তিন চার বছর জৈব সার ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োজন পড়েনা।