আজ রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফসলি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ফসলি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে

Sharing is caring!

রাকিব হাসান মাদারীপুর প্রতিনিধি :

 

মাদারীপুর ডাসারে জোরপূর্বক সড়ক তৈরি জন্য তিন ফসলির প্রায় ২ একর  জমি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।

সরকারি অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় পেশিশক্তি দেখিয়ে এসব জমি কেটে ফেলেছে বলে জমির মালিকদের অভিযোগ।

ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে মাটি কাটার ঘটনা ঘটে। এদিকে মাটি ভরাটে বাধা দিলে প্রভাবশালীদের হুমকির তোপে রয়েছে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক ও তার পরিবার।

ভুক্তভোগী পরিবার ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া মৌজার ৫০ নং খতিয়ানের ১ একর ৮০ শতাংশ ফসলি জমি কাজীবাকাই ইউনিয়নের পূর্ব মাজপাড়া  গ্রামের সাবেক শিক্ষক রতন কুমার দাসের।রাস্তার দুপাশে ভেকু দিয়ে ফসলি জমি গর্ত করে মাটি কেটে রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। এতে সরিষা, ধান, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করা হচ্ছে।আর সেই জমিতে স্থানীয় পূর্বভাবশালীরা ব্যক্তিগত স্বার্থে শিক্ষক পরিবারসহ কয়েক পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে ফসলি জমি কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করেছেন।

এদিকে জমিতে মাটিকাটায় বাধা দিয়ে প্রাণ নাশকের হুমকির মুখে পড়েছেন ওই পরিবার। এমনতো অবস্থায় সরকার ও প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

কথা হয় ভুক্তভোগী সাবেক শিক্ষক রতন কুমার দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত জমি থেকে তারা ব্যক্তিগত রাস্তার জন্য আমার জমির মাটি কেটে নিয়েছে।এতে জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আমি তাদেরকে বাধা দেওয়ায় তারা  আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। এবং তারা বলে প্রশাসন দিয়ে কিছুই হবে না। আমরা সরকার এবং প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।

৬০ বছর বয়সি এই ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার জমিতে মাছের ঘের নষ্ট করে রাস্তায় মাটি ফেলা হচ্ছে। তারা কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি।’ আরেক ক্ষতিগ্রস্ত  বলেন, ‘আমার জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে গর্ত করেছে। আমার ক্ষেতের জমি নষ্ট করেছে।’ দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তা দরকার, তাই বলে আমাদের ক্ষতি করে রাস্তা করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

 ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ- উল আরেফিন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে অভিযোগ করে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।